নয়া দিল্লি: “এক দেশ, এক কার্ড”-র পর এবার “এক দেশ, এক গ্রিড”। মঙ্গলাবার কেরলের কোচি থেকে কর্নাটকের মেঙ্গালুরু অবধি ৪৫০ কিমি দীর্ঘ প্রাকৃতি গ্যাসের পাইপলাইন (Kochi-Mangaluru Natural Gas Pipeline) উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) জানান, তাঁর আমলে দেশ জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে রেল, মেট্রো ও ডিজিটাল ক্ষেত্র কিংবা গ্যাস সংযোগে যে অভূতপূর্ব কাজ দেখছে, তা ভবিষ্যতে আর্থিক উন্নয়নেই সাহায্য করবে।
উন্নয়নের দিকে কতটা অগ্রসর হয়েছে ভারত, তা ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একদিকে যেমন পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যেই প্রায় ৩২ হাজার কিলোমিটারের প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপলাইনকে দ্বিগুণ করা হচ্ছে, অন্যদিকে গুজরাটে বাতাস ও সৈরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম হাইব্রিড পুনর্নবীকরণ প্ল্যান্ট (Hybrid Renewable Plant)-র কাজ করা হচ্ছে।”
দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি বিরোধীদের কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিগত বছরগুলিতে ভারতের উন্নয়ন কী কারণে থমকে ছিল, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের গতি এত ধীর হতে পারে না। গত কয়েক বছরে দেশের উন্নয়নের গতি ও সুযোগ-উভয়ই বৃদ্ধি পেয়েছে।”
Dedicating the Kochi – Mangaluru Natural Gas Pipeline to the nation. #UrjaAatmanirbharta https://t.co/u8x0hQGUcR
— Narendra Modi (@narendramodi) January 5, 2021
আরও পড়ুন: অনুমোদনের ১০ দিনের মধ্যেই টিকাকরণ শুরু করতে প্রস্তুত দেশ!
একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৯৮৭ সালে আন্তঃরাজ্য পাইপলাইন কমিশন তৈরি হয়েছিল। ২০১৪ সাল অবধি মাত্র ১৫ হাজার কিলোমিটার পাইপলাইন সংযোগ করা হয়েছে, এদিকে এই মুহূর্তেই দেশে মোট ১৬ হাজার কিলোমিটার পাইপ লাইন তৈরির কাজ চলছে। আগামী চার থেকে ছয় বছরের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।”
আরও যোগ করে তিনি বলেন, “২০১৪ সাল অবধি মোট ৯০০টি সিএনজি গ্যাস স্টেশন ছিল। বিগত ছয় বছরে তা বেড়ে ১৫০০-এ পৌঁছেছে। আমাদের লক্ষ্য ১০ হাজার সিএনজি (CNG) স্টেশন তৈরি করা। এছাড়াও ২০১৪ অবধি মাত্র ২৫ লাখ পরিবারের কাছে পর্রাকৃতিক গ্যাস পাইপের সংযোগ ছিল। বর্তমানে তা ৭২ লাখে পরিণত হয়েছে।”
নতুন পাইপলাইন সংযোগেও দেশে কর্মসংস্থান হয়েছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “কোচি থেকে মেঙ্গালুরু অবধি পাইপলাইন তৈরির জন্য প্রায় ১২ লাখ মানুষ কাজ করছে। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা উন্নত হবে, তেমনই শিল্পের জন্য ব্যয়ও কমবে। পেট্রোল, ডিজেলের উপর নির্ভরশীলতা কমে এক সুস্থ ও পরিবেশবান্ধব রাষ্ট্র গড়ার দিকে এগিয়ে যাবে ভারত।”
আরও পড়ুন: রেকর্ড! প্রথম দিনেই বিশ্বে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিশু জন্মাল ভারতে