নয়া দিল্লি: দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের উদ্বোধন এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। রাম মন্দিরের উদ্বোধন হওয়া মাত্রই যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা অযোধ্যায় যাবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগেই অযোধ্যার যোগাযোগ ব্যবস্থা জোরদার করার উপর বিশেষ নজর দিয়েছে কেন্দ্র। আকাশপথ থেকে রেলপথ ও সড়কপথেও যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশেষ উন্নতি করতে বদ্ধ পরিকর মোদী ও যোগী সরকার। তাই নতুন রূপে অযোধ্যা বিমানবন্দরের পর এবার আরও কয়েকটি নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবং সাধারণের জন্য বন্দে ভারত তথা অমৃত ভারত ট্রেনের (Amrit Bharat Train) উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যা বিমানবন্দর উদ্বোধনের দিনই দেশের প্রথম অমৃত ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi)।
সূত্রের খবর, দেশের প্রথম অমৃত ভারত ট্রেন অযোধ্যা ও মিথিলাঞ্চলের দ্বারভাঙার মধ্যে চলবে। রামায়ণ অনুযায়ী, অযোধ্যা শ্রীরামের এবং মিথিলাঞ্চল রাম-জায়া সীতার জন্মস্থান। স্বাভাবিকভাবে রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে দেশের প্রথম অমৃত ভারত ট্রেনের উদ্বোধন তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর দুটি অমৃত ভারত ট্রেনের যাত্রার সূচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আরেকটি ট্রেন দক্ষিণ ভারতে চলবে। অমৃত ভারত ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নতুন ৬টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, অমৃত ভারত ট্রেনেরই প্রথম নামকরণ হয়েছিল বন্দে সাধারণ। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সম্পূর্ণভাবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত, সম্পূর্ণ বিলাসবহুল এবং ভাড়া তুলনামূলক অনেকটাই বেশি, ফলে সকলের পক্ষে এই ট্রেনে চড়া সম্ভব হয় না। তাই সাধারণ যাত্রীর কথা বিবেচনা করে দ্রুত গতির নন-এসি ট্রেন হল বন্দে সাধারণ। এই ট্রেনটিও অনেকাংশে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো দেখতে। তবে ট্রেনটির রং কমলা। এই ট্রেনটিতে যাত্রীদের জন্য পুশ পুল অপারেশনের ব্যবস্থা-সহ স্লিপার কার, জেনারেল সেকেন্ড ক্লাস কোচও রয়েছে।
অমৃত ভারত ট্রেনের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি দেখে নেওয়া যাক একনজরে
১) বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সাধারণ ভার্সন বলা যায় অমৃত ভারত ট্রেন। ট্রেনটির রং কমলা ও ধূসর হলেও দেখতে অনেকাংশে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতোই।
২) ২২ কোচ বিশিষ্ট অমৃত ভারত ট্রেনে ১২টি দ্বিতীয় শ্রেণির ৩ টায়ার স্লিপার কার, ৮টি জেনারেল দ্বিতীয় শ্রেণি কোচ এবং ২টি গার্ড কম্পার্টমেন্ট থাকছে। গার্ড কম্পার্টমেন্টে মহিলাদের জন্য একটি এবং বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য একটি কোচ থাকবে।
৩) ট্রেনটি নন-এসি হলেও উন্নত প্রযুক্তি বিশিষ্ট। জার্ক-ফ্রি পার্মানেন্ট কাপলার রয়েছে। ফলে ট্রেনের ঝাঁকুনি বোঝা যাবে না।
৪) ট্রেনের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
৫) মালপত্র রাখার বিশেষ ব়্যাক, এফআরপি মডিউলার টয়লেট-সহ বিভিন্ন উন্নত ব্যবস্থা থাকবে অমৃত ভারত ট্রেনে।