নয়া দিল্লি: দেশের কোভিড পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় উন্নত গবেষণার যে সাহায্যে পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়ে ভারতীয় বৈজ্ঞানিকদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। একইসঙ্গে উন্নত সমাজ গঠনে গবেষণার উপর জোর দেওয়ার বার্তাও দিলেন তিনি। সোমবার জাতীয় মেট্রোলজি অধিবেশনের (National Metrology Conclave) সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ভারতীয় বৈজ্ঞানিকরা যে দুটি দেশীয় করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, তার জন্য গোটা দেশ গর্বিত।
দেশের বৈজ্ঞানিকদের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ প্রক্রিয়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছি। বৈজ্ঞানিকরা দুটি দেশীয় ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন। দেশের মানুষেরা তাদের উপর গর্বিত।” একইসঙ্গে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের যোগ স্থাপন করে তিনি বলেন, “আমরা গোটা বিশ্ব ভারতীয় পণ্য দিতে ভরতি করে ফেলতে চাই না।কিন্তু বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ভারতীয় পণ্য ক্রেতাদের মন জিতে নিতে চাই। বিশ্বজুড়ে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ পণ্যের কেবল চাহিদাই নয়, পণ্যের গুণমানের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করাও আমাদের লক্ষ্য। এর মাধ্যমেই আমরা ‘আত্মনির্ভর ভারত’ (Atmanibhar Bharat)-র লক্ষ্য পূরণ করতে পারব।”
মেট্রোলজি (Metrology)-ই আধুনিকতার আধার, একথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ” যে দেশের মেট্রোলজি যত ভাল, সেই দেশ তত এগিয়ে। আমাদের উৎপাদিত দ্রব্য কতটা ভাল, তা বুঝতে হলে মেট্রোলজির প্রয়োজন। কেবল ভারতীয় পণ্য উৎপাদন করলেই হবেনা। ক্রেতাদের মনও জয় করতে হবে। নতুন উপলব্ধির সঙ্গে নতুন বছর পালন করতে হবে। বস্ত্রশিল্প, ওষুধ, সার- ভারতে উৎপাদিত বা নিজস্ব এমন অনেক পণ্যই বিদেশে পরিচিতি পাচ্ছে। আমদানি ও রফতানি হওয়া সমস্ত পণ্যেরই গুণগত মান ভাল হতে হবে, তবেই দেশ উন্নয়নের দিকে এগোবে।”
আরও পড়ুন:‘আর কত নীচুতে নামবেন?’, বাবার সমাধিরও অডিট করা নিয়ে প্রশ্ন মেহবুবার
তিনি আরও যোগ করে বলেন, “ভারতের উপর আজ ভরসা করছে গোটা বিশ্ব । সিএসআইকে অনেক বড় ভূমিকা নিতে হবে। তবেই বিশ্ব অর্থনীতিতে ঘুরে দাঁড়াবে ভারত। ইন্ড্রাস্ট্রি ৪.০- তে ভারত এগিয়ে যাবে। আমাদের কাছে নতুন চিন্তাভাবনা রয়েছে, কিন্তু যন্ত্র নেই। সেই খামতি পূরণ করে এবার এগোতে হবে। সেইজন্যেই তো মেট্রোলজি। ”
আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “গবেষণার কখনও মৃত্যু হয় না। ডঃ বসু প্রথম বেতারের কথা বলেছিলেন, আজ তা বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে। আমাদের নবীন বৈজ্ঞানিকদের বলছি, গবেষণা নিয়ে আরও ভাবুন। ছোট গবেষণাও কীভাবে জীবনের ধারক হয়ে ওঠে, তা বুঝতে হবে। সেই বিষয়ে ভাবতে হবে। বিগত ছয় বছর ধরে ভারত ফিউচার রেডি ইকোসিস্টেম নিয়ে কাজ চলেছে। পৃথিবীর প্রথম ৫০টি দেশের মধ্যে একটি দেশ হল ভারত। আজ ভারতের নবীনদের জন্য গবেষণা ও কাজের অনেক সুযোগ আছে। ‘কর্মণ্যেবাধিকারস্তু মা ফলেষু কদাচেন’ মন্ত্রটি আপানদের মনে রাখতে হবে। অর্থাৎ ফলের চিন্তা না করে কাজ করতে হবে।”
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুগামী রাজধানীতে আগুন, চালকের তৎপরতায় রক্ষা পেলেন যাত্রীরা