গ্রাম সড়ক থেকে সর্ব শিক্ষা অভিযান, কীভাবে দেশ বদলেছিলেন বাজপেয়ী, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

Atal Bihari Vajpayee: প্রধানমন্ত্রী মোদী লেখেন যে অটল বিহারী বাজপেয়ী তথ্য প্রযুক্তি, টেলিকম ও কমিউনিকেশন সেক্টরে বিরাট পরিবর্তন এনেছিলেন। তিনি বলেন, "সাধারণ মানুষের কাছে প্রযুক্তিকে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি দেশকে সংযুক্ত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন।"

গ্রাম সড়ক থেকে সর্ব শিক্ষা অভিযান, কীভাবে দেশ বদলেছিলেন বাজপেয়ী, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
প্রধানমন্ত্রী মোদীর পোস্ট করা ছবি।Image Credit source: X
Follow Us:
| Updated on: Dec 25, 2024 | 1:18 PM

নয়া দিল্লি: রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে অটল তিনি। প্রতিদিন অনুপ্রাণিত করছেন অগুনতি মানুষকে। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মশতবর্ষে এই উক্তির মাধ্যমেই শ্রদ্ধার্ঘ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এ দিন প্রধানমন্ত্রী মোদী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়ে লেখেন, “একবিংশ শতাব্দীর স্থপতি হিসাবে আমাদের দেশ অটলজীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। ১৯৯৮ সালে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন, তখন আমাদের দেশ একটা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। ৯ বছরের মধ্যে আমরা ৪টি লোকসভা নির্বাচন দেখেছি। দেশের মানুষ অস্থির হয়ে উঠছিল। সরকারের কাজ নিয়েও সন্দিহান ছিল। অটলজীই সেই ব্যক্তি ছিলেন, যিনি স্থিতিশীল ও কার্যকরী শাসন স্থাপন করেছিলেন। মাটি থেকে উঠে এসেছিলেন বলে তিনি সাধারণ মানুষের স্ট্রাগল বুঝেছিলেন।”

প্রধানমন্ত্রী মোদী লেখেন যে অটল বিহারী বাজপেয়ী তথ্য প্রযুক্তি, টেলিকম ও কমিউনিকেশন সেক্টরে বিরাট পরিবর্তন এনেছিলেন। তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের কাছে প্রযুক্তিকে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি দেশকে সংযুক্ত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বাজপেয়ী সরকার প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মতো প্রকল্প শুরু হয়েছিল। দিল্লি মেট্রো শুরু করেছিলেন। তাই বাজপেয়ী সরকার শুধুমাত্র অর্থনৈতিক বৃদ্ধিই করেনি, পাশাপাশি একতাও এনেছে।”

তিনি আরও লেখেন, “সামাজিক ক্ষেত্রেও সর্ব শিক্ষা অভিযানের মতো উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যা দেশের মানুষের কাছে, বিশেষ করে গরিব মানুষদের কাছে শিক্ষা পৌঁছে দিয়েছিল। একইসঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও একাধিক পরিবর্তন এনেছিলেন।”

প্রধানমন্ত্রী মোদী উল্লেখ করেন যে অটল বিহারী বাজপেয়ীর সময়েই পোখরানে পরমাণু পরীক্ষা হয়েছিল। এনডিএ জোট তৈরিরও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। বিরোধী আসনে বসেও তাঁর সঙ্গে কারোর শত্রুতা বা সম্পর্কে তিক্ততা ছিল না। কীভাবে ১৯৯৬ সালে নোংরা রাজনীতিতে হাত না লাগিয়ে, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন, ১৯৯৯ সালে কীভাবে তাঁর সরকার ১ ভোটে হেরে গিয়েছিল, তা উল্লেখ করেন।