PM Modi Speech: আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েন, স্বদেশি পণ্য নিয়ে দেশবাসীকে আহ্বান মোদীর
PM Narendra Modi speech on GST: বিদেশি পণ্যের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য দেশবাসীকে এদিন আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, অনেকসময় সাধারণ মানুষ জানতেও পারেন না যে তাঁর প্রতিদিন যেসব জিনিস ব্যবহার করছেন, সেগুলি দেশীয় না বিদেশের। চিরুনির উদাহরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমাদের পকেটে যে চিরুনি থাকে, তা ভারতে তৈরি না বিদেশে, জানতে পারি না। আমাদের ভারতে তৈরি জিনিস কেনা উচিত।"

নয়াদিল্লি: আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য ও শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে ভারতীয় পণ্য ব্যবহারের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার থেকে দেশজুড়ে কার্যকর হচ্ছে পণ্য ও পরিষেবা কর(GST)-র নতুন কাঠামো। রবিবার দেশবাসীকে সেই ‘সুখবর’ শোনালেন প্রধানমন্ত্রী। জিএসটির নতুন কাঠামো কার্যকর হলে সাধারণ মানুষের সঞ্চয় বাড়বে বলে জানালেন। আর জিএসটি-র নতুন কাঠামোর সুফলের কথা বলতে গিয়েই স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহে বিদেশি পণ্যের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য দেশবাসীকে এদিন আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, অনেকসময় সাধারণ মানুষ জানতেও পারেন না যে তাঁর প্রতিদিন যেসব জিনিস ব্যবহার করছেন, সেগুলি দেশীয় না বিদেশের। চিরুনির উদাহরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের পকেটে যে চিরুনি থাকে, তা ভারতে তৈরি না বিদেশে, জানতে পারি না। আমাদের ভারতে তৈরি জিনিস কেনা উচিত।”
স্বাধীনতা আন্দোলনে স্বদেশি পণ্যের ভূমিকার কথাও এদিন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “স্বদেশির মন্ত্র আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে শক্তি জুগিয়েছিল। আর আজ এই মন্ত্র আমাদের সমৃদ্ধির উদ্দেশ্যকে শক্তিশালী করবে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের প্রতিটি বাড়িকে স্বদেশির প্রতীক করে তুলতে হবে। প্রতিটি দোকানকে স্বদেশি পণ্য দিয়ে সাজাতে হবে। গর্বের সঙ্গে বলুন, আমি স্বদেশি পণ্য কিনি, স্বদেশি পণ্য বিক্রি করি।”
অন্যদিকে, জিএসটি-র নতুন কাঠামোর সুফলের কথা তুলে ধরে মোদী বলেন, “আগামিকাল থেকে দেশে নতুন জিএসটি হার কার্যকর করা হচ্ছে। জিএসটি-তে এখন শুধু দুটো ধাপই থাকবে। একটা ৫ শতাংশ ও অন্যটা ১৮ শতাংশ। ৯৯ শতাংশ পণ্যের উপর মাত্র ৫ শতাংশ কর আরোপ করা হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমবে। মানুষের সঞ্চয় বাড়বে। এই সংস্কারগুলি ভারতের বৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত করবে।”
