নয়া দিল্লি: ভারতীয়দের মননে ছেপে গিয়েছে শ্রী রামের নাম। অযোধ্যার রাম মন্দির নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মার্কিন ম্যাগাজিন নিউজ উইক-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দেশের নীতি-উন্নয়ন থেকে শুরু করে চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই ওঠে রাম মন্দির প্রসঙ্গও। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “ভগবান রামের জীবন দেশের সভ্যতায় চিন্তা ও মূল্যবোধের রূপরেখা নির্ধারণ করেছে।”
অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “ওঁর (শ্রী রাম) জীবন আমাদের চিন্তাধারা ও মূল্যবোধের রূপরেখা নির্ণয় করেছে। আমাদের পবিত্র ভূমি জুড়ে তাঁর নাম উচ্চারিত হয়েছে। আমি ১১ দিনের বিশেষ রীতি পালন করেছিলাম, শ্রী রামের পদচিহ্ন যেখানে যেখানে রয়েছে, আমি সেখানে গিয়েছিলাম। এই যাত্রা আমায় দেশের বিভিন্ন কোণায় নিয়ে গিয়েছে, যেখানে আমি দেখেছি, রাম আমাদের সকলের মধ্যে বসবাস করে।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “শ্রী রামের তাঁর জন্মভূমিতে ফিরে আসা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত সৃষ্টি করেছে, যেখানে দেশের একতা প্রতিফলিত হয়েছে। দীর্ঘ শতাব্দীর অপেক্ষা ও আত্মত্যাগের ফল এই রাম মন্দির। আমায় যখন প্রাণ প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে বলা হয়েছিল, আমি জানতাম যে দেশের ১৪০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করব আমি, যারা অসীম ধৈর্য্য ধরে রামলালার ঘরে ফেরার অপেক্ষা করছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান গোটা দেশকে একত্রিত করেছিল, যেন দ্বিতীয় দীপাবলি। রাম জ্যোতির আলোয় আলোকিত হয়েছিল প্রতিটি বাড়ি।”
প্রসঙ্গত, ৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাম জন্মভূমি ঘিরে বিতর্ক ছিল। এই জমির উপরে কার অধিকার, তা নিয়ে ২০১৯ সালে ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিতর্কিত জমিতেই রাম মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের তরফে আলাদা জমি দেওয়া হয় মসজিদ গঠনের জন্য।