নয়া দিল্লি: এক সপ্তাহ আগে শুরু হয়েছিল দেশজুড়ে করোনা গণটিকাকরণ কর্মসূচি, প্রথম দফায় টিকা নিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির যোদ্ধারা। টিকাকরণ ঘিরে কেমন অভিজ্ঞতা, তা জানতে বারাণসীর টিকাদাতা (vaccinators) ও গ্রহীতা (beneficiaries)-দের সঙ্গে শুক্রবার কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার নিজেই টুইট করে জানান এই কথা।
এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় ১০ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির যোদ্ধারা টিকা নিয়েছেন। বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর মন থেকে টিকাকরণ নিয়ে ভয় কাটাতে আজ দুপুরে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে নিজের কেন্দ্রের টিকাদাতা ও গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী নিজেই টুইট করে লেখেন, “বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে দেশজুড়ে। আমাদের প্রথম সারির যোদ্ধারা করোনা টিকা নিচ্ছেন। আগামিকাল, ২২ জানুয়ারি দুপুর ১টা ১৫-এ আমি বারাণসীর টিকাদাতা ও গ্রহীতাদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কথা বলব।”
This interaction would give first hand opportunity to hear their experiences as well as feedback. I would urge you all to watch tomorrow’s interaction.
— Narendra Modi (@narendramodi) January 21, 2021
আরও পড়ুন: বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা, ধ্বংসস্তূপের তলায় তখন চাপা পড়ে কাতরাচ্ছেন ওঁরা!
টিকা গ্রহণের অভিজ্ঞতা ও মতামত জানতেই প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠকের পরিকল্পনা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এইটুকুই নয়, দেশবাসীর মন থেকে করোনা টিকা সম্পর্কে যাবতীয় সংশয় দূর করতে দ্বিতীয় দফায় তিনি নিজেই টিকা নেবেন বলে সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও ৫০ বছরের বেশী বয়সী সাংসদ-বিধায়কদেরও করোনা টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারি সূত্রে।
টিকাকরণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে গতকালই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে তথ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগ নামক একটি কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন (Harsh Vardhan) বলেন, “আসুন সকলে মিলে এই ভ্রান্ত ধারণা দূর করি। বিভিন্ন প্রখ্যাত হাসপাতালের বিশিষ্ট চিকিৎসকরা এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং এর প্রশংসাই করেছেন। অদ্ভুত বিষয় হল, বিশ্বের নানা দেশ আমাদের কাছে ভ্যাকসিন চাইছে, সেখানে আমাদের দেশেরই একটি অংশ টিকাকরণ সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রচার করছে।”
আরও পড়ুন: চিন থেকে মুক্ত তিব্বত চান ৮০ শতাংশ ভারতীয়, ইঙ্গিত সি ভোটারের সমীক্ষায়