Nikki Yadav Murder Case: বাগদানের পর বন্ধুদের সঙ্গে উদ্দাম পার্টি, অনুষ্ঠানের মাঝেই প্রেমিকা নিকির সঙ্গে দেখা করে সাহিল, তারপরই…

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Feb 16, 2023 | 8:51 AM

Nikki Yadav Murder Case: গত ৯ ফেব্রুয়ারি, যেদিন নিকিকে খুন করে সাহিল, সেই দিনই তাঁর অন্য এক যুবতীর সঙ্গে বাগদান হয়। ওই অনুষ্ঠানের আনন্দেই যখন সকলে ব্যস্ত ছিলেন, সেই সময় সাহিল তাঁর খুড়তুতো ভাইয়ের গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় এবং প্রেমিকা নিকির সঙ্গে দেখা করে।

Nikki Yadav Murder Case: বাগদানের পর বন্ধুদের সঙ্গে উদ্দাম পার্টি, অনুষ্ঠানের মাঝেই প্রেমিকা নিকির সঙ্গে দেখা করে সাহিল, তারপরই...
লিভ-ইন সঙ্গিনীকে খুন দিল্লির যুবকের।

Follow Us

নয়া দিল্লি: বাড়িতে বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয়-স্বজনদের ভিড়। তাদের সঙ্গে নাচা-গানাতেই ব্যস্ত ছিলেন সাহিল গেহলট। তবে মনে মনে যে সে অন্য ফন্দি আঁটছে, তা ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পাননি। দরকারি কাজ রয়েছে বলেই বাড়ি থেকে বের হয়েছিল সাহিল। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়েই সে ডাকে প্রেমিকা তথা লিভ-ইন সঙ্গী নিকি যাদবকে। গাড়িতে বসিয়ে বেশ কয়েক কিলোমিটার নিয়ে গিয়েছিল তাঁকে। এরপরেই সুযোগ বুঝে নিকির গলায় চার্জিং কেবল পেঁচিয়ে খুন করে সাহিল। নিকির মৃতদেহ পাশে বসিয়ে প্রায় ৪০ কিলোমিটার গাড়ি চালায় সাহিল। গ্রামের বাইরে অবস্থিত একটি ধাবার ফ্রিজেই ভরে আসে প্রেমিকা নিকির দেহ। চুপচাপ বাড়ি ফিরে আসে সে, সেখানে হাসি-খুশি মুখেই বিয়ে করে অন্য় মেয়েকে। বুধবার এমনটাই জানাল দিল্লি পুলিশ।

দিল্লিতে ফের একবার শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া। আফতাব আমিন পুনাওয়ালা যেমন লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে ভরে রেখেছিল, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রায় ঠিক সেভাবেই সাহিল গেহলট নামক বছর ২৪-র এক যুবকও গত ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী নিকি যাদব(২২)-কে খুন করে। এরপরে তাঁর দেহ নিয়ে গিয়ে গ্রামের বাইরে অবস্থিত একটি ধাবার ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখে আসে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি, যেদিন নিকিকে খুন করে সাহিল, সেই দিনই তাঁর অন্য এক যুবতীর সঙ্গে বাগদান হয়। ওই অনুষ্ঠানের আনন্দেই যখন সকলে ব্যস্ত ছিলেন, সেই সময় সাহিল তাঁর খুড়তুতো ভাইয়ের গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় এবং প্রেমিকা নিকির সঙ্গে দেখা করে। অন্য যুবতীকে বিয়ে করা নিয়ে নিকি ও সাহিলের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়। এরপরই মোবাইলে চার্জ দেওয়ার তার গলায় পেঁচিয়ে নিকিকে খুন করে সাহিল। তাঁর দেহ পাশে বসিয়েই ৪০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ওই ধাবায় যায় এবং সেখানের একটি ফ্রিজে তাঁর দেহ ভরে রেখে পালিয়ে আসে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ধাবার ফ্রিজ থেকে নিকির দেহ উদ্ধার হওয়ার পরই গোটা বিষয়টি সামনে আসে।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাগদানের অনুষ্ঠানের পর সাহিল দিল্লির উত্তম নগরের ভাড়া বাড়িতে গিয়েছিল, যেখানে সে নিকির সঙ্গে লিভ-ইনে থাকত। সাহিলের বাড়ি থেকে ডিসেম্বর মাসেই অন্যত্র বিয়ে ঠিক করা হলেও, সম্প্রতিই নিকি সেই বিষয়ে জানতে পারেন। বিয়ে রুখতে সে একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছিল। সাহিলের বিয়ের দিন, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি তাদের গোয়া যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু দুইদিন আগে সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। হিমাচল প্রদেশে ঘুরতে যাবে তারা, এমনটাই ঠিক হয়।

Next Article