লখনউ: আদালত থেকে যাওয়ার কথা ছিল থানায়। কিন্তু সেখানে না গিয়ে, রেললাইনের ধারে পৌঁছে গেলেন পুলিশকর্মী। রেললাইনে সটান শুয়ে পড়লেন তিনি। এদিকে, পুলিশের এই কাণ্ড দেখে তো হইহই পড়ে গেল। আশেপাশের লোকজনেরা ছুটে আসেন। কিন্তু ওই পুলিশকর্মীও নাছোড়বান্দা। আত্মহত্যা করবেনই, মনস্থির করে ফেলেছেন! শেষে থানার সহকর্মীরা এসে, তাঁকে অনেক বুঝিয়ে কোনওমতে উদ্ধার করেন। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। কেন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ওই পুলিশকর্মী?
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের আলিগড় জেলায়। বান্না দেবী পুলিশ স্টেশনের এক সাব ইন্সপেক্টর রেললাইনে শুয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। শেষ মুহূর্তে সহকর্মীদের প্রচেষ্টায় তাঁকে কোনওমতে বাঁচানো যায়। কেন হঠাৎ তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন, এই প্রশ্নের উত্তরে পুলিশকর্মী জানান, ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন, তাঁকে সকলের সামনে অপমান করেছেন। সেই দুঃখেই আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন তিনি।
সচিন কুমার নামক ওই সাব ইন্সপেক্টর জানান, বাইক চোরদের একটি গ্যাং বিগত কয়েক মাস ধরে সক্রিয় হয়েছিল। চলতি সপ্তাহেই ওই গ্যাংয়ের ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নিয়ে আদালতে পেশ করতে গেলে, তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। অভিযোগ, বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করানোর পর, তাঁকে ম্যাজিস্ট্রেটের বাড়িতে তলব করা হয়। সেখানে গেলে ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে গালিগালাজ করতে থাকেন, চরম দুর্ব্যবহার করেন। চোরদের গ্রেফতারির পিছনেও অন্য কোনও মতলব রয়েছে ওই পুলিশ কর্মীর, এমনটাই নাকি বলেছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট।
কাজের সততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়, অপমানিত হয়ে সচিন কুমার আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতোই কাছের একটি রেললাইনে গিয়ে শুয়ে পড়েন। এদিকে, সাব ইন্সপেক্টর আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন, এই খবর পেয়েই থানার বাকি কর্মীরা ছুটে আসেন। অনেক বোঝানোর পর রেললাইন থেকে উঠতে রাজি হন ওই পুলিশকর্মী। তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।