চেন্নাই: কৃষি আইন নিয়ে লাগাতার সরকারের বিরোধিতা করছে কংগ্রেস সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। সমালোচনার ঝড় থামাতে এবার সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রকাশ জাভাড়েকর (Prakash Javadekar)। কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন (Farm laws) কৃষকদের সহায়ক কিনা, সে বিষয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও ডিএমকে (DMK) নেতাদের বিতর্কসভায় আমন্ত্রণ জানালেন তিনি।
চেন্নাইয়ে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার মাঝেই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, “রাহুল গান্ধী আচমকাই বলছেন যে আমাদের নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। এই আইনগুলি কৃষকদের পক্ষে সহায়ক কিনা, সে বিষয়ে তর্ক-বিতর্কের জন্য আমি তাঁকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছি। ডিএমকে ও রাহুল গান্ধীকে বিতর্কে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”
কৃষক আন্দোলনে (Farmers Protest) হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যান। মাঝপথেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) সহ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হলেও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind)-র সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), গুলাম নবি আজাদ (Gulam Nabi Azad) ও অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Choudhury)। সেখানে দুই কোটি কৃষকের স্বাক্ষরসহ একটি স্মারকলিপি (Memorandum) জমা দেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র না শিখিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচন দেখুন! রাহুলকে পাল্টা কটাক্ষ মোদীর
রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, “দেশে কোনও গণতন্ত্র নেই। এদেশে গণতন্ত্র কেবল কল্পনাতেই থাকতে পারে, বাস্তবে নয়।” এরপর টুইটেও সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের উল্লেখ করে তিনি টুইটে লেখেন, “ভবিষ্যতে শোচনীয় পরিস্থিতি এড়াতেই দেশের কৃষকরা এই কৃষক বিরোধী আইনের বিরুদ্ধেই লড়াই করছেন। এই সত্যাগ্রহে আমাদের দেশের অন্নদাতাদের সমর্থন জানানো উচিত।”
भारत के किसान ऐसी त्रासदी से बचने के लिए कृषि-विरोधी क़ानूनों के ख़िलाफ़ आंदोलन कर रहे हैं।
इस सत्याग्रह में हम सबको देश के अन्नदाता का साथ देना होगा।https://t.co/iZ6Hgnunzw
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) December 24, 2020
আজ ৩১তম দিনে পড়ল কৃষক আন্দোলন। সরকারের সঙ্গে পাঁচদফা বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর গতকাল কৃষকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। অন্যদিকে, আজ আন্দোলনকারী ৪০টি কৃষক সংগঠনের নেতারা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেছেন পরবর্তী কর্মসূচি পরিকল্পনা করতে। এই বৈঠকেই কৃষকরা কেন্দ্রের সঙ্গে ষষ্ঠদফার বৈঠকে বসবেন কিনা, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবেন।
আরও পড়ুন: বাংলার পর অসম, ভোটমুখী রাজ্যে দু’দিনের শাহি সফর