Prashant Kishor: ‘১ ঘণ্টার মধ্যে মদের উপরে ব্যান তুলে দেব’, সুরাপ্রেমীদের জন্য বড় ঘোষণা প্রশান্ত কিশোরের

Bihar Assembly Election: এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিহারে জন সূরজ যাত্রা করছিলেন প্রশান্ত কিশোর। যাত্রা শেষেই তিনি রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক সূচনার কথা ঘোষণা করেন। এদিকে, ভোটের মুখে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও এমনই এক যাত্রা শুরু করতে চলেছেন।

Prashant Kishor: '১ ঘণ্টার মধ্যে মদের উপরে ব্যান তুলে দেব', সুরাপ্রেমীদের জন্য বড় ঘোষণা প্রশান্ত কিশোরের
প্রশান্ত কিশোর।Image Credit source: Getty Image
Follow Us:
| Updated on: Sep 15, 2024 | 11:03 AM

পটনা: আর পর্দার আড়ালে নয়, এবার সরাসরি রাজনীতির ময়দানে নামছেন প্রশান্ত কিশোর। আগামী ২ অক্টোবর তাঁর দল জন সূরজ পার্টি আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। আর ভোটের ময়দানে নামার আগেই বড় ঘোষণা প্রশান্ত কিশোরের। বললেন, বিহার নির্বাচনে জিতলে এক ঘণ্টার মধ্যে মদের উপরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবেন।

সংবাদসংস্থা এএনআই-র সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “২ অক্টোবরের জন্য আলাদা করে কোনও প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। আমরা বিগত ২ বছর ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছি…যদি জন সূরজ সরকার তৈরি হয়, তবে ১ ঘণ্টার মধ্যে মদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।”

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিহারে জন সূরজ যাত্রা করছিলেন প্রশান্ত কিশোর। যাত্রা শেষেই তিনি রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক সূচনার কথা ঘোষণা করেন। এদিকে, ভোটের মুখে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও এমনই এক যাত্রা শুরু করতে চলেছেন। এ প্রসঙ্গে পিকে বলেন, “ওঁর (তেজস্বী যাদব) জন্য শুভেচ্ছা রইল। অন্তত ওঁ বাড়ি থেকে বেরিয়ে জনগণের মাঝে যাচ্ছে।”

সম্প্রতিই তেজস্বী যাদব দাবি করেছিলেন, বিজেপি শাসিত এনডিএ-তে যোগ দেওয়ার জন্য নীতীশ কুমার হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়েছেন। তেজস্বীর এই দাবি ঘিরেই আরজেডি ও জেডিইউ-র মধ্যে শুরু হয়েছে বাক্যযুদ্ধ। এই বিষয়েও মন্তব্য করেন প্রশান্ত কিশোর। বলেন, “দুই নেতাই বিহারের ক্ষতি করেছে। এটা নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদবের নিজেদের মধ্যের বিষয়। কে কার কাছে ক্ষমা চাইল, তাতে কিছু যায়-আসে না, কারণ দুইজনই বিহারের ক্ষতি করেছে। ৩০ বছর ধরে এদের দেখেছে বিহারের মানুষ। আমরা দুইজনকেই বিহার ছেড়ে চলে যেতে বলছি।”

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই তেজস্বী যাদবের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। বলেছিলেন, “আর্থিক অভাবে কেউ পড়াশোনা করতে না পারলে, তা মানা যায়। কিন্তু মা-বাবা মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও যিনি দশম শ্রেণি পাশ করতে পারেন না, শিক্ষার প্রতি তাঁর কী দৃষ্টিভঙ্গি, তা বোঝাই যায়। একজন নবম শ্রেণি ড্রপআউট বিহারের উন্নয়নের রাস্তা দেখাচ্ছেন। ওঁ জিডিপি আর ডিজিপি প্রবৃদ্ধির হারের পার্থক্যই বোঝে না।”