অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়ও সে কী ‘দাপট’, ‘ওর’ ভয়ে রীতিমতো কাঁপছে পুরুষরাও
Bankura: শনিবার সকাল ৬টায় ঝাড়গ্রাম জেলার কাঁকরাঝোড় জঙ্গলে বন দফতরের রেডিও কলার ট্র্যাকিং সিস্টেম সিগন্যালে একটি বাঘিনী ধরা পড়ে। তারপর থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় ওড়িশার সিমলিপাল থেকে এ রাজ্যে আসা বাঘিনীটি।
বাঁকুড়া: একে শীতের রাত। লোকজনের আনাগোনা কমেছে। তার মধ্যে আবার ঝাড়গ্রামের তেলিঘানার জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে আরও চেপে বসেছে ‘ওর’ আতঙ্ক। বাড়ির বাইরে পা রাখতে সাহস করছেন না কেউ। রাস্তা ঘাট হয়ে পড়েছে শুনশান। পাছে বেরলেই সামনে হাজির হয়! সেই ভয়ে বাইরে পা রাখতে পারছে না কেউই। কার্যত বাঘিনীর আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে গোটা গ্রামে। রাতভর রেডিও কলার ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে বাঘিনীর প্রতিমূহুর্তের গতিবিধির উপর কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছে বন দফতর। তবে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলছেন না কেউই।
শনিবার সকাল ৬টায় ঝাড়গ্রাম জেলার কাঁকরাঝোড় জঙ্গলে বন দফতরের রেডিও কলার ট্র্যাকিং সিস্টেম সিগন্যালে একটি বাঘিনী ধরা পড়ে। তারপর থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। বন দফতর সূত্রে খবর, ওড়িশার সিমলিপাল থেকে এ রাজ্যে ঢুকে পড়েছে বাঘিনীটি। দীর্ঘ সাড়ে ন’ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর তেলিঘানার জঙ্গলে রেডিও কলার সিগন্যাল ট্র্যাক করতে পারেন বনকর্মীরা। এরপর থেকে আর বাঘিনীর নজরদারিতে বিন্দুমাত্র ঝুঁকিও রাখেনি বন দফতর। লাগাতার নজরদারি চালানো হয় তার উপর।
প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল বাঘিনীকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হবে। তারপর তাকে নিজেদের নাগালে আনতে সুন্দরবন থেকে ট্রাঙ্কুলাইজ টিমকে নিয়ে যাওয়া হবে তেলিঘানার জঙ্গলে। কিন্তু সূত্রের খবর, বাঘিনীটি অন্ত:স্বত্বা থাকায় এখনি তাকে ঘুমপাড়ানি গুলি করতে নারাজ বন দফতর। সে জন্যে ইতিমধ্যেই জঙ্গলে খাঁচা পাতা হয়েছে। টোপ হিসাবে দেওয়া হয়েছে ছাগল ও মহিষ।
এদিকে রাতের অন্ধকার নামতেই এলাকা জুড়ে আরও চেপে বসেছে বাঘের আতঙ্ক। ভয়ে সন্ধেয়র পর থেকে আর কেউ বাড়ির বাইরে পা রাখতে সাহস করছেন না। রাস্তাঘাটও শুনশান হয়ে পড়েছে। বন দফতরের তরফেও রাতে বাড়তি সতর্ক থাকার কথা ঘোষণা করা হয়েছে এলাকায়। সবমিলিয়ে আতঙ্কের রাত কাটাচ্ছেন তেলিঘানা জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলি। ব্রিজ নন্দন বেহরা, বন দফতরের এক কর্মী বলেন, “একটা বাঘ অনেক দিনব ধরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওকেই ট্রাক করার চেষ্টা করছি।”