Bardhaman: বর্ধমানের রাজ কলেজে নাকি থ্রেট কালচার? সরব অধ্যাপকরা

Bardhaman: শনিবার বর্ধমান রাজ কলেজের অধ্যক্ষ নিরঞ্জন মণ্ডল সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, যেভাবে বর্ধমানের ঐতিহ্যবাহী রাজ কলেজের সুনাম এবং পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাতে তাঁরা আতঙ্কিত। অধ‌্যক্ষ এদিন অভিযোগ করেন, বহিরাগত এবং কলেজের একাংশ ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারি কলেজে থ্রেট কালচার চালাচ্ছেন।

Bardhaman: বর্ধমানের রাজ কলেজে নাকি থ্রেট কালচার? সরব অধ্যাপকরা
বর্ধমান রাজ কলেজ Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 21, 2024 | 11:37 PM

বর্ধমান: আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। ফের অভিযোগ উঠল বর্ধমান রাজ কলেজের বিরুদ্ধে। আইনশৃঙ্খলা এবং থ্রেট কালচার নিয়ে সরব হলেন কলেজের অধ্যক্ষ সহ প্রায় ৭১ জন শিক্ষক শিক্ষিকা।

শনিবার বর্ধমান রাজ কলেজের অধ্যক্ষ নিরঞ্জন মণ্ডল সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, যেভাবে বর্ধমানের ঐতিহ্যবাহী রাজ কলেজের সুনাম এবং পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাতে তাঁরা আতঙ্কিত। অধ‌্যক্ষ এদিন অভিযোগ করেন, বহিরাগত এবং কলেজের একাংশ ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারি কলেজে থ্রেট কালচার চালাচ্ছেন। নানাভাবে চলছে হুমকি। কলেজের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে কিছু না জানিয়েই কলেজে চলছে মিটিং।

শুক্রবারও কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠান নিয়ে তাঁকে না জানিয়েই মিটিং করা হয়েছে। নিরঞ্জনবাবু বলেন, “নিশ্চয়ই ‘সোশ্যাল’ হবে। হয়ত দেরি হচ্ছে। কিন্তু এই অনুষ্ঠান করতে হলে গত বছরের যথাযথ হিসাব আমার কাছে জমা দিতে হবে। না হলে অডিটে আমায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গতবারের ইউসি জমা পড়েনি। অথচ নতুন বছরের অনুষ্ঠান ঠিক হয়ে গেল।”

অধ্যক্ষের দাবি, ২০২২ সালে নতুন গর্ভনিং বডি তৈরির পর থেকেই নানাভাবে চলছে কলেজের অধঃপতন। তিনি জানান, কলেজের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য জিবির অনুমোদন ছাড়া তিনি কিছু করতে পারেন না। জিবি অনুমোদন না দেওয়ায় অনেক কাজই তিনি করতে পারছেন না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। এই বিষয়টিকেও হাতিয়ার করে চলছে থ্রেট কালচার।

এদিন রাজ কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলাস্তরের নেতারাও। তিনি জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, উচ্চশিক্ষা দফতরের মন্ত্রী, সহ সংশ্লিষ্ট দফতর, জেলা প্রশাসনকেও জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, নিরঞ্জনবাবু জানিয়েছেন, তিনি যখন এই কলেজের দায়িত্ব নেন তখন কলেজের নিজস্ব ফাণ্ডে ছিল ৩ কোটি টাকা। তাঁর সময়কালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি টাকা। বর্তমানে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে। তাঁকে সাসপেন্ড করা হতে পারে।