Fake Doctor: ডাক্তার সেজে রমরমিয়ে ব্যবসা, সঙ্গে আবার ওষুধের দোকানও! বাবার সঙ্গে ছেলেও তুলে নিয়ে গেল পুলিশ
Fake Doctor: অভিযোগ, যথাযথ কাগজপত্র ছাড়াই ক্লিনিক চালু করে দেওয়া হচ্ছিল চিকিৎসা পরিষেবা। করা হচ্ছিল ছোটখাটো অস্ত্রোপচারও। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ডিগ্রি না থাকার পরেও একেবারে পারিবারিকভাবে চলছিল এই ব্যবসা।
বর্ধমান: বর্ধমানে দীর্ঘদিন থেকে বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে চিকিৎসা কেন্দ্রে লাগাতার অনিময় ঘিরে শোরগোল চলছেই। কয়েকদিন আগেই এক অনুষ্ঠানে বর্ধমানে বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থায় বেনিয়ম নিয়ে তীব্র ভাষায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিধায়ক খোকন দাস। দিয়েছিলেন কড়া হুঁশিয়ারি। এরইমধ্যে ভুয়ো কাগজ নিয়ে ডাক্তার সেজে লোক ঠকানোর অভিযোগে গ্রেফতার বাবা-ছেলে। এদিন তাঁদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। এক আগে একই অভিযোগে একজন পুলিশের জালে পড়েছিল। ছাড়াতেই পেতেই ফের শুরু করে দেয় জাল ব্যবসা। শুধু ক্লিনিক নয়, ডে-কেয়ার থেকে ওষুধের দোকান, সবই চলতো। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
অভিযোগ, যথাযথ কাগজপত্র ছাড়াই ক্লিনিক চালু করে দেওয়া হচ্ছিল চিকিৎসা পরিষেবা। করা হচ্ছিল ছোটখাটো অস্ত্রোপচারও। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ডিগ্রি না থাকার পরেও একেবারে পারিবারিকভাবে চলছিল এই ব্যবসা। নেই কোনও রেজিস্ট্রেশন। স্থানীয় বাসিন্দারা এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠের কাছে তিনতলা বাড়ির নিচে ওই ক্লিনিকে হানা দেয় পুলিশ। আটক করা হয় কে প্রসাদ ও ডি কে দীপক নামে দুই ব্যক্তিকে। দু’জনই আবার নামের আগে ডাক্তার লেখা স্টিকারও ব্যবহার করতেন। সম্পর্কে তাঁরা বাবা-ছেলে।
এই খবরটিও পড়ুন
ডি কে দীপকের নামের পাশে সরাসরি এমবিবিএস বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অল্টারনেটিভ মেডিসিনে এমডি হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু, কেন ডাক্তার হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিতেন সেই প্রশ্ন করা হলে কোনও সদুত্তর মেলেনি। এই ক্লিনিকের উল্টোদিকেই রয়েছে একটি ওষুধের দোকান। যেটি আবার তাঁদের পরিবারের ছোট ছেলে চালান বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম। তিনি বলছেন, পুরোটাই মেডিক্যাল কাউন্সিলকে জানানো হবে।