আবার হামলার ভয়! হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন সইফ
Saif Ali Khan: পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবেই কী এমন সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেতা! শোনা যাচ্ছে হাসপাতাল থেকে তিনি আর তাঁর বান্দ্রার নতুন ফ্ল্যাটে ফিরবেন না। বরং তিনি তাঁর আগের ফ্ল্যাটেই যাবেন বলে খবর।
টানা পাঁচদিন হাসপাতালে থাকার পর মঙ্গলবার বাড়ি ফিরছেন সইফ আলি খান। এরই মাঝে চলছে তদন্ত। সোমবার রাতে পুলিশ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখতে আততায়ীকে নিয়েই প্রতিটা জায়গায় ঘুরেছিলেন। তালিকা থেকে বাদ পড়েনি সইফের বাড়িও। তবে সইফের বাড়ির ছক এখন বাইরে ফাঁস। তাই পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবেই কী এমন সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেতা! শোনা যাচ্ছে হাসপাতাল থেকে তিনি আর তাঁর বান্দ্রার নতুন ফ্ল্যাটে ফিরবেন না। বরং তিনি তাঁর আগের ফ্ল্যাটেই যাবেন বলে খবর।
বুধবার রাতে সইফকে আহত করে বেশ কিছুক্ষণ সেখানেই নাকি লুকিয়ে ছিল আততায়ী, পুলিশ সূত্রে খবর তেমনই। যদিও এতবড় হামলার পরও বিন্দু মাত্র ভয় জায়গা করতে পারেনি সইফের মনে। শরীরে ভাঙা ছুরির অংশ নিয়েই তিনি পৌঁছিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। লীলাবতী হাসপাতালের ডাক্তার, যিনি প্রথম সইফকে দেখেছিলেন, তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বললেন, “আমি যখন প্রথম সইফকে দেখি, পুরো শরীর রক্তে ঢাকা। কিন্তু তখনও সিংহের মতো হাঁটছিলেন। সঙ্গে শুধুমাত্র তাঁর ছয় বছরের ছেলে ছিল। উনি সত্যিই হিরো। সিনেমায় হিরোগিরি তো হতেই পারে, কিন্তু আপনার ঘরে একজন ঢুকে আসে এবং আপনি প্রকৃত হিরোর মতো লড়াই করেন, সেই বিশ্বাস।”
প্রসঙ্গত, বুধবার মধ্য়রাতে তখন প্রায় সবাই ঘুমোচ্ছে আচমকাই সইফ আলি খানের বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির হানা। নায়ককে কপিয়ে চম্পট দেন সেই ব্যক্তি। শোনা যাচ্ছিল রক্তাক্ত সইফকে অটোয় করে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর বড় ছেলে ইব্রাহিম আলি খান। তবে ইব্রাহিম নন, ছেলে তৈমুর আলি খান এবং বাড়ির এক পরিচারক মিলে নায়ককে নিয়ে গিয়েছিলেন লীলাবতি হাসপাতালে। ডাক্তারের শিউরে ওঠা বিবরণে সত্যি সইফ রিয়েল হিরো।