Burdwan: স্ত্রীকে গলা টিপে খুন, তিন বছরের মাথায় যাবজ্জীবন যুবকের
Burdwan: খবর পেয়ে বাপেরবাড়ির লোকজন রীনার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন, তাঁর মৃতদেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। ২ নভেম্বর মৃতার বাবা ফেলু লোহার ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে বধূ নির্যাতন ও খুনের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে থানা।
বর্ধমান: স্ত্রীকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুনের দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বর্ধমান আদালত। এছাড়াও সাজাপ্রাপ্তকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাস কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার বর্ধমানের ইলেক্ট্রিসিটি সংক্রান্ত বিশেষ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অনন চট্টোপাধ্যায় এই সাজা ঘোষণা করেছেন। সাজাপ্রাপ্তের নাম গদাই লোহার। ভাতার থানার বসতপুরে তাঁর বাড়ি।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গদাইয়ের সঙ্গে গ্রামেরই রীনা লোহারের ঘটনার ১৩ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দু’টি ছেলে–মেয়ে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে রীনার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। হামেশাই রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করত গদাই। ভবিষ্যতের কথা ভেবে সব অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করতেন রীনা। ২০২১ সালের ১ নভেম্বর রাত ১০টা নাগাদ নেশাগ্রস্ত হয়ে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করে গদাই। এরপর গলা টিপে তাঁকে মেরে ফেলে।
খবর পেয়ে বাপেরবাড়ির লোকজন রীনার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন, তাঁর মৃতদেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। ২ নভেম্বর মৃতার বাবা ফেলু লোহার ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে বধূ নির্যাতন ও খুনের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে থানা। ৩ নভেম্বর গদাইকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে হেফাজতেও নেয় পুলিশ। ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট পেশ করেন তদন্তকারী অফিসার তাপস রায়। মামলায় ১১জনকে সাক্ষী করা হয়। বিচার শুরু হওয়ার সময় কেসের সরকারি আইনজীবী ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস।
পরে তিনি মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। অজয় দে সরকারি আইনজীবীর দায়িত্ব পান। তিনি বলেন, “গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই জেলে ছিল গদাই। মামলায় ১১জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার নথিপত্র ও সাক্ষীদের বয়ানের ভিত্তিতে গদাইকে বধূ নির্যাতন ও খুনের ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দিয়েছেন বিচারক।”