নয়া দিল্লি: বিজয় দিবসের ৫০ বছর পূর্তিতে উৎসবের ছোঁয়া ভারত (India) ও বাংলাদেশে (Bangladesh)। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে একদিকে যেমন মুক্তিযুদ্ধ (Freedom Fight) লড়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল বাংলাদেশ, তেমনই ভারতও সেই যুদ্ধে বাংলাদেশের সেনাকে সাহায্য করেছিল। তাই ভারতও এই দিনটিকে বিজয় দিবস (Vijay Dibas) হিসাবে পালন করে। এই বছর বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে গতকালই বাংলাদেশে গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind)। আজ সকালে দিল্লির জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে (National War Memorial) শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)।
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টায় দিল্লির ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে পৌঁছন। সেখানে সুবর্ণ জয়ন্তী বিজয় মশাল অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। প্রথমেই তিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে যে জওয়ানরা শহিদ হয়েছিলেন, তাদের স্মৃতিসৌধে গিয়ে পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপরে স্বর্ণীম বিজয় মশাল প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
Delhi: Prime Minister Narendra Modi lays a wreath at the National War Memorial on the occasion of 50th #VijayDiwas pic.twitter.com/8t7mQI6AEo
— ANI (@ANI) December 16, 2021
গত বছর বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে চারটি মশাল জ্বালিয়েছিলেন, সেই চারটি মশাল কন্যাকুমারী থেকে সিয়াচেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরেছিল। ১৯৭১ সালের যুদ্ধক্ষেত্র ও শহিদ জওয়ানদের বাড়িতেও সেই মশাল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এক বছর বাদে সেই মশাল ফের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই চারটি মশাল এক করে একটি মশাল জ্বালান, যা আজীবন প্রজ্বলিত থাকবে।
#WATCH | Prime Minister Narendra Modi participates in Homage & Reception Ceremony of 'Swarnim Vijay Mashaals' at the National War Memorial in Delhi to mark 50th #VijayDiwas pic.twitter.com/cLpfWIjbJP
— ANI (@ANI) December 16, 2021
এ দিন সকালেই প্রধানমন্ত্রী টুইট করে বিজয় দিবসের গুরুত্ব স কলকে মনে করিয়ে দেন। তিনি টুইটে লেখেন, “বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তীতে মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর বীর জওয়ানদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের কথা আমাদের মনে রয়েছে। আমরা মিলিতভাবে অত্যাচারী শক্তিগুলির সঙ্গে লড়াই করেছি এবং তাদের পরাজিত করেছি। আজ ঢাকায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দজীর উপস্থিতি প্রত্যেক ভারতীয়ের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।”
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও এ দিন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসবে যোগ দেন। সেখানেই তিনি শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন। ঢাকার ন্য়াশনাল প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজয় প্য়ারেড করেন বাংলাদেশের জওয়ানরা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এছাড়াও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদও উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন দলের তরফেও বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে কংগ্রেসের তরফে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী সহ একাধিক কংগ্রেস শীর্ষ নেতা। ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই সময়ের কথা মনে করে সনিয়া গান্ধী বলেন, “ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতায় থাকাকালীন অন্যতম সেরা বছর ছিল ১৯৭১ সাল। গোটা বিশ্বের কাছে তিনিই বাংলাদেশের মানুষদের কথা, তাদের দুর্দশা তুলে ধরেছিলেন। রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক- তিন কৌশলের সুপরিকল্পিত মিশ্রণেই ৭১-র যুদ্ধে সাফল্য পাওয়া গিয়েছিল। ” এদিনই উত্তরাখণ্ডের দেহরাদুনে একটি জনসভায় যোগ দেবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর জওয়ানরাও উপস্থিত থাকবেন।
বিজেপির তরফে আলাদাভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Minimum Age For Marriage Of Women: আরও এক বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, বাড়ছে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স