Priyanka Gandhi: কংগ্রেসের শক্তি পুনরুদ্ধারে কর্মশালা, মাঝপথেই বেরিয়ে গেলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

Priyanka Gandhi Vadra: দলকে পুনরুজ্জীবিত করতে লখনউয়ে চলছে কংগ্রেসের 'নবসংকল্প কার্যশালা'। বুধবার রাতেই সেই কর্মশালা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।

Priyanka Gandhi: কংগ্রেসের শক্তি পুনরুদ্ধারে কর্মশালা, মাঝপথেই বেরিয়ে গেলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
মাঝপথেই দলীয় কর্মসূচি ছেড়ে দিল্লি ফিরলেন প্রিয়াঙ্কা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 02, 2022 | 5:43 PM

লখনউ: বুধবারই (১ জুন) উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের দু’দিনের ‘নবসংকল্প কার্যশালায়’ যোগ দিতে লখনউয়ে এসেছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। বছরের শুরুতেই উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর, এই কার্যশালায় দলকে কীভাবে পুনরুজ্জীবিত করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনাই ছিল এই কার্যশালার উদ্দেশ্য। কিন্তু দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেই আচমকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কার্যশালা ছেড়ে দিল্লি ফিরে গিয়েছেন। ঠিক কী কারণে তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কর্মসূচি মাঝপথে ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন, সেই বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে এক সূত্রের দাবি, মা কোভিড-১৯ পজিটিভ জেনেই তড়িঘড়ি লখনউ থেকে দিল্লিতে ফিরে আসেন উত্তর প্রদেশের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেস নেত্রী। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালেই জানা যায় যে, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর করোনা পরীক্ষার ফল ইতিবাচক এসেছে।

‘নব সংকল্প কার্যশালা’য় অংশ নেওয়া কংগ্রেস নেতারাই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এই কর্মসূচি ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের মিডিয়া ভাইস চেয়ারম্যান পঙ্কজ শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘হ্যাঁ, তিনি দিল্লি চলে গিয়েছেন’। স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা জানিয়েছেন, কার্যশালার দ্বিতীয় দিনেও সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদকের। কিন্তু, আচমকাই বুধবার অনেক রাতে তিনি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী না থাকলেও এই কর্মসূচির কাজ চলবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। পঙ্কজ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, কংগ্রেস দলের ন্য়াশনাল সেক্রেটারিরা কার্যশালায় উপস্থিত আছেন। তাঁদের নেতৃত্বেই উত্তর প্রদেশে দলের শক্তি পুনরুদ্ধারের কৌশল তৈরি করছে কংগ্রেস। শুধুমাত্র প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর যে কর্মসূচি ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচন আর খুব বেশি দূরে নেই। তার আগে কংগ্রেস দলের শক্তি বৃদ্ধির কোনও লক্ষণ এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। একের পর এক রাজ্যে, বিধানসভা নির্বাচনে রক্তক্ষরণ অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় স্তরে দলের হারানো জায়গা পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রাজ্য থেকে ৮০টি লোকসভা আসন রয়েছে। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, উত্তরপ্রদেশে দলের প্রচারের নেতৃত্বে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁর স্লোগান ‘লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ’ প্রচারের আলো টানলেও, সাধারণ মানুষের আস্থা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছিল। ৪০৩টি আসনে লড়াই করে কংগ্রেসের ঝুলিতে জুটেছিল মাত্র ২টি আসন।

সম্প্রতি, উদয়পুরে ‘চিন্তন শিবিরের’ সংকল্পগুলিকেই প্রয়োগের লক্ষ্যেই, লখনউয়ে ‘নবসংকল্প কার্যশালার’ আয়োজন করা হয়েছিল। কংগ্রেস দলের এক বিবৃতি অনুযায়ী, ডিজিটাল সদস্য সংগ্রহ অভিযান, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন, দলীয় সংগঠন, রাজনীতি, অর্থনীতি, কৃষি, সামাজিক ন্যায়, যুবদের সমস্যার মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা এই কর্মশালায়। রাজ্যের পদস্থ নেতাদের পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের সমস্ত জেলা ও শহরের কংগ্রেস সভাপতিরা, প্রাক্তন ও বর্তমান বিধায়করা এই কর্মশালায় যোগ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, কর্মশালার প্রথম দিন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, বিধানসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে দলীয় কর্মীদের নিরাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। জয় না পাওয়া পর্যন্ত দলের কর্মীদের ‘ডাবল এনার্জি’ নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে, তারপর দিনই কর্মশালায় তাঁর অনুপস্থিতি, কর্মীদের উৎসাহে জল ঢেলে দিতে পারে, এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।