Rail Recruitment protest: নিয়োগ নিয়ে বিক্ষোভ, বিহারে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট রেলের
Railway Recruitment: জানা গিয়েছে, আরা, গয়া, নাওয়াদা ও সীতামারহি স্টেশনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবথেকে বেশি। রেল আধিকারিকদের অনুমান শুধুমাত্র নাওয়াদা স্টেশনেই রেলের ৩ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে।
নয়া দিল্লি: মঙ্গলবার থেকে বিহারে রেলে নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। একের পর এক ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীদের দাবি ছিল রেলের এনটিপিসি পরীক্ষায় বেনিয়ম হয়েছিল। ক্ষোভ সামাল দিতে আসরে নেমেছিলেন স্বয়ং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিক্ষোভকারীদেরকে আইন নিজের হাতে না তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন রেলমন্ত্রী। তবে নিয়োগ ঘিরে ছাত্র বিক্ষোভে উত্তপ্ত বিহারে যে পরিমাণ রেলের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে, তার হিসেব জানার পর তাজ্জব বনে গিয়েছেন অনেকে। রেলে নিয়োগ নিয়ে বিক্ষোভের জেরে তিন দিনে বিহারে রেলের ১২ জন কর্মী আধিকারিক আহত হয়েছে। ভারতীয় রেল সূত্রে খবর, এদিন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আরা, গয়া, নাওয়াদা ও সীতামারহি স্টেশনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবথেকে বেশি। রেল আধিকারিকদের অনুমান শুধুমাত্র নাওয়াদা স্টেশনেই রেলের ৩ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। বাকি স্টেশনগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, নাওয়াদা এবং সীতামারহি স্টেশনে সবথেকে বেশি রেলকর্মী আহত হয়েছিলেন। এই মধ্যে আরপিএফের ৪ জন, দমকল বিভাগের একজন এবং রেল পুলিশের দু’জন আহত হয়েছেন। সীতামারহিতে ছাত্রদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে জিআরপির তিন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, সেইখানে ছাত্রদের মধ্যে থেকে ২ থেকে ৩ রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। গুলি চালানোর ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
জানা গিয়েছে বিক্ষোভে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অপরাধে এখনও অবধি বিহারে ৫৫ জন ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। নাওয়াদাতে ৩২ জন, জেহানাবাদে ২২ জন, সীতামারহিতে ১৩ জন এবং গয়াতে ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সংঘর্ষ ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার দায়ে কতজনের নামে মামলা রুজু করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন গয়াতে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গয়াতে ছাত্র বিক্ষোভ পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। বিভিন্ন ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল যে পুলিশ পরীক্ষার্থীদের সঠিকভাবে সামাল দিতে পারছিল না। এরপরই বিক্ষোভরত ছাত্ররা ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, রেলওয়ের নন-টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটেগরির পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতি করা হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারিই প্রথম ধাপের কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। সেখানেই দ্বিতীয় ধাপে পরীক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে জালিয়াতি বলেই দাবি বিক্ষোভকারীদের। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও সিবিটি ২ পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। ২০১৯ সালের রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েও নতুন কোনও আপডেট পাওয়া যাচ্ছে না। সেই পরীক্ষার ফলও প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: Budget 2022: প্রত্যাশা পূরণের বাজেটে স্বাস্থ্য পণ্যের উপর GST কমানোর দাবি বীমা সংস্থাগুলির