Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cow Smuggling Case: ইডির থেকে আর একটু সময় চাইলেন কেষ্ট-কন্যা, বাবার মুখোমুখি না হতেই কি সুকন্যার নয়া চাল?

Sukanya Mondal: ২০ মার্চ সুকন্যাকে ফের তলব করেছে ইডি। কিন্তু সেদিনও তাঁর হাজিরা দেওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই ঘনিষ্ঠ মহলের খবর। যদি তাই হয়, তাহলে কি এখানে সুকন্যার কোনও সুকৌশল লুকিয়ে?

Cow Smuggling Case: ইডির থেকে আর একটু সময় চাইলেন কেষ্ট-কন্যা,  বাবার মুখোমুখি না হতেই কি সুকন্যার নয়া চাল?
অনুব্রত মণ্ডল ও সুকন্যা মণ্ডল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 17, 2023 | 1:09 PM

কলকাতা ও নয়া দিল্লি: গরুপাচার মামলার তদন্তে (Cow Smuggling Case) সব দিক খতিয়ে দেখতে চাইছে ইডি। অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ইতিমধ্যেই দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেষ্টর হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারিকেও (Manish Kothari) গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সুকন্য়াকেও (Sukanya Mondal) ফের একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে ইডি। গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা কেষ্টকন্যা সুকন্যাকে তলব করেছেন দিল্লিতে। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে প্রথম হাজিরা এড়িয়েছেন সুকন্যা। সূত্রের খবর, তিনি তদন্তকারীদের থেকে সাত দিন সময় চেয়েছেন। জানা যাচ্ছে, তাঁকে সময় দিয়ে ফের ২০ মার্চ তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

এখানেই কি তাহলে সুকৌশলী সুকন্যা? ২০ মার্চও তাঁর দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরার সম্ভাবনা কম বলেই জানাচ্ছে ঘনিষ্ঠ মহল। অসুস্থতার কথা বলে সেইদিনও তিনি যদি হাজিরা এড়িয়ে যান তাহলে বাবা ও মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে ইডির জেরা করতে পারার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, পরের দিনই অর্থাৎ ২১ মার্চ অনুব্রতর ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরপর তাঁকে ফের আদালতে পেশ করা হবে। তারপর যদি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত, তাহলে কেষ্ট মণ্ডল যেতে পারেন তিহাড়ে।

এদিকে সূত্র মারফত খবর, ২০ মার্চ সুকন্যা যদি হাজিরা না দেন, তাহলে তাঁকে ফের একবার তৃতীয় নোটিস পাঠাতে পারে ইডি। তবে সেই নোটিসে সুকন্যা যদি হাজিরা দেনও, তাহলে কেষ্টর সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা অনেকটাই কম। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, এমন হলে একসঙ্গে দুই উদ্দেশ্য সফল হতে পারে সুকন্যার। অসুস্থতার কথা বলে একবার হাজিরা এড়াতেও পারলেন আবার মুখোমুখি জেরার সুযোগও হয়ত পাবে না ইডি। তাছাড়া, তৃতীয় নোটিসে হাজিরা দিলে অসহযোগিতার অভিযোগও আনতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই জন্যই কি সুকৌশলে হচ্ছেন সুকন্যা? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, ইডির অফিসাররা সুকন্যা ও কেষ্টকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান, তার অন্যতম একটি কারণ হল এর আগে সুকন্যা নিজের বয়ানে সব দায় ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছিলেন। সূত্রের খবর, তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর নামে থাকা সম্পত্তি, চালকল, টাকার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাঁর বাবা সব জানেন বলে জানিয়েছিলেন। জানা যাচ্ছে, সেই বয়ান কতটা সত্যি ছিল তা জানার জন্যই এই মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের উপর জোর দিতে চাইছে ইডি।

তবে এখানে আরও একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। যদি ২০ মার্চ সুকন্যা হাজিরা এড়িয়ে যান, সেক্ষেত্রে আদালতের কাছে ফের কি একবার কেষ্টকে নিজেদের হেফাজতে রাখার জন্য আবেদন জানাবে ইডি? এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।