Rahul Gandhi On Disqualification: ‘যেকোনও মূল্য চোকাতে প্রস্তুত’, সাংসদ পদ যেতেই সরকারি বাংলো ছাড়লেন রাহুল
Rahul Gandhi On Disqualification: সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর টুইটে তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন রাহুল গান্ধী। কী বললেন তিনি?

নয়া দিল্লি: শুক্রবার সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। এই পদক্ষেপ নিয়ে টুইটে তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন রাহুল গান্ধী। তিনি জানিয়েছেন, ‘যেকোন মূল্য চোকাতে প্রস্তুত’ তিনি। ‘২০১৯ সালে মোদী পদবিধারীরাই কেন চুরি করেন’ বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানি মামলা করেছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদী। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার একদিন পরই রাহুলের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। হিন্দিতে রাহুল টুইট করেছেন, “আমি ভারতের কণ্ঠস্বর তুলে ধরার জন্য লড়াই করছি। এর জন্য আমি যে কোনও মূল্য চোকাতে প্রস্তুত।” এদিন সন্ধ্যাতেই মা সনিয়াকে সঙঅগে নিয়ে তাঁকে তাঁর সরকারি বাসভবন ছেড়ে যেতে দেখা যায়। তবে, এখনই পাকাপাকিভাবে বাংলো ছেড়ে দিলেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
রাহুল গান্ধীকে সাংসদ হিসেবে অযোগ্য ঘোষণার পাশাপাশি লোকসভা সচিবালয়ের পক্ষ থেকে রাহুলের নির্বাচনী এলাকা কেরলের ওয়ানাড়কেও সাংসদ শূন্য বলে ঘোষণা করেছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই আসনের বিশেষ নির্বাচন আয়োজন করা হতে পারে। একইসঙ্গে সরকারি বাংলোও ছেড়ে দিতে হবে রাহুল গান্ধীকে। এর জন্য এক মাস সময় পাবেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস দলের দাবি, এই পদক্ষেপ আসলে রাহুল গান্ধীর কণ্ঠরোধের ষড়যন্ত্র। সংসদের ভিতর বাইরে একের পর এক কঠিন প্রশ্ন উত্থাপন করে মোদী সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলছিলেন রাহুল। সেই কারণেই তাঁকে চুপ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির দাবি, এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র নেই। গেরুয়া শিবিরের মতে, রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রায় দিয়েছে এক স্বাধীন আদালত। রাহুল শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই নয়, সমগ্র ওবিসি সম্প্রদায়কেই অপমান করেছেন বলে দাবি করেছে বিজেপি।
मैं भारत की आवाज़ के लिए लड़ रहा हूं।
मैं हर कीमत चुकाने को तैयार हूं।
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) March 24, 2023
রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের জন্য তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে গুজরাটের সুরাটের আদালত। তবে ১০,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে আগাম জামিন দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। পাশাপাশি, উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার অনুমতিও দিয়েছে আদালত। ৩০ দিনের মধ্যে কোন উচ্চ আদালতে কিংবা সুপ্রিম কোর্টে তাঁকে আবেদন করতে হবে। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইনের বিধান অনুযায়ী, কোনও সাংসদ যদি দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ড পান, সেই ক্ষেত্রে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাবে। এই অবস্থায়, রাহুল গান্ধী এই রায়কে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করবেন বলে জানিয়েছে কংগ্রেস দল। আদালতের এই আদেশ বহাল থাকলে, সাংসদ পদ খারিজের পাশাপাশি আগামী আট বছরের জন্য কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না রাহুল গান্ধী।
