জয়পুর: বিতর্কের মুখে পড়ে অবশেষে বাল্যবিবাহ নিয়ে পিছু হটল রাজস্থান সরকার (Rajasthan Government)। গতমাসেই বিধানসভায় ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে রাজস্থানে বাধ্যতামূলক বিবাহ নথিভুক্তিকরণ (সংশোধনী) বিল, ২০২১ (Rajasthan Compulsory Registrations of Marriage Amendment Bill 2021) পাস হয়। ওই বিতর্কিত বিলে বলা হয়েছিল, কোনও নাবালিকার বিয়ের বৈধ্যতার জন্য ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ের যাবতীয় নথি অভিভাবককে সরকারের কাছে জমা করতে হবে। তবে এই বিল পাস হওয়ার পর থেকেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে গেহলট সরকার। অবশেষে এই আইন প্রত্য়াহার করা হচ্ছে বলে জানানো হল রাজ্য সরকারের তরফে।
সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখ রাজস্থান বিধানসভায় বাধ্যতামূলক বিবাহ নথিভুক্তিকরণ (সংশোধনী) বিল, ২০২১ পাস করানো হয়। এখনও অবধি এই আইন কার্যকর না হলেও, আইন পাস করার পর থেকেই বিরোধীরা সরকারের সমালোচনায় সরব হয়। তাদের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার বাল্যবিবাহকে আইনি বৈধতা দেওয়ার দিকে এগোচ্ছে। একটি বেসরকারি সংগঠনও রাজস্থান হাইকোর্টে ওই সংশোধনী আইনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করে।
ক্রমাগত বিরোধীতার মুখে পড়েই অবশেষে সোমবার, বিশ্ব কন্যা সন্তান (World Girl Child Day) দিবসেই রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, তারা রাজ্যপালকে অনুরোধ করবেন ওই বিল ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) বলেন, “বাল্য বিবাহ বন্ধ করার লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার কাজ করছে। আমরা চাই যে রাজ্যে যেন কোনও বাল্য বিবাহ না হয় এবং এই বিষয়ে রাজ্য সরকার কোনও রকমের আপোষ করবে না।”
विवाहों के अनिवार्य पंजीयन को लेकर सुप्रीम कोर्ट के एक आदेश की भावना के अनुरूप ही राजस्थान विवाहों का अनिवार्य पंजीकरण (संशोधन) विधेयक,2021 लाया गया है।परंतु बाल विवाह को लेकर जो गलत धारणा बन गयी है,तो हम बिल को माननीय राज्यपाल महोदय से अनुरोध करेंगे कि इसे सरकार को पुनः लौटा दें
— Ashok Gehlot (@ashokgehlot51) October 11, 2021
তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছিল, সমস্ত আইনই রেজিস্ট্রার হতে হবে। সেই নির্দেশিকা মাথায় রেখেই এই আইন আনা হয়েছিল। তবে এই আইন নিয়ে ভুল ধারণা তৈরি হওয়ায় আমরা রাজ্যপালের কাছে অনুরোধ জানাব ওই বিলটি ফেরত পাঠানোর জন্য। বিশ্ব কন্যা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আইনজীবীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলার পরই এই বিলকে আইনে রূপান্তরিত করা হবে কিনা, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন: Lakhimpur Violence: কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতেই অনড় কংগ্রেস, দেশজুড়ে মৌনব্রত পালনের ডাক
এর আগে বিতর্কের শুরুর সময়ও অশোক গেহলটের মন্ত্রিসভার সদস্য শান্তি ধারিওয়াল জানিয়েছিলেন, সংশোধনী বিলে কোথাও বাল্য বিবাহে সম্মতি দেওয়ার কথা উল্লেখ করা নেই। বিয়ের শংসাপত্র একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি না থাকলে বিধবাদের জন্য সরকারি যে সমস্ত সরকারি প্রকল্প আছে, তার সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকতে হয় বহু মানুষকে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট সীমা বনাম অশ্বিনী কুমার মামলায় নির্দেশ দিয়েছিল, সব ধরনের বিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে নথিভুক্ত করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই বিল সংশোধন করা হয়েছে বলেই দাবি শান্তি ধারিওয়ালের।