জয়পুর: মন্দিরের প্রণামী বাক্স খুলতেই বেরিয়ে এল পিস্তল। সঙ্গে রয়েছে হাতকড়া থেকে সোনার বিস্কুটও। ২ মাস পরে প্রণামী গুনতে গিয়ে ‘থ’ কতৃপক্ষ।
রাজস্থানের চিতোরগড়ের সানওয়ালিয়া শেঠ মন্দির। কৃষ্ণের এই মন্দিরে প্রতি দিন ভিড় জমান বহু ভক্ত। তাঁদের দেওয়া দানের পরিমাণ নেহাত কম নয়। তাই প্রত্যেক ২ মাস অন্তর খোলা হয় মন্দিরের দান পাত্র। সেই মতোই এই বারেও দু’মাস পর খোলা হয়েছিল মন্দিরের দানপাত্র। আর তার পরেই চক্ষু চরক গাছ সকলের।
সূত্রের খবর, এই মাসে রেকর্ড দান পড়েছে রাজস্থানের এই কৃষ্ণ মন্দিরে। এর মধ্যে রয়েছে রুপোর পিস্তল, হাতকড়া, ১ কেজি ওজনের সোনার বিস্কুট সহ ২৩ কোটি টাকার নগদ টাকা। এছাড়াও কোষাগারের গণনা করার সময়, রুপোর নানা প্রত্নবস্তু থেকে শুরু করে রূপোর তালা-চাবি এমনকি রুপোর বাঁশিও পাওয়া গিয়েছে। এই বারের সংগ্রহ মন্দিরের জন্য রেকর্ডকৃত বৃহত্তম অনুদান বলেও জানা গিয়েছে।
প্রত্যেক দু’মাস অন্তর কোষাগার গণনা করা হয় এই মন্দিরে। প্রথম পর্যায়ে, ১১.৩৪ কোটি টাকার দান পড়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে ৩.৬০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পায়। তৃতীয় বারে তাতে আরও ৪.২৭ কোটি টাকা যোগ হয়। এই বারে এখনও অবধি ১৯.২২ কোটি টাকা গণনা করা হয়েছে। দান বাক্স, অনলাইন থেকে পাওয়া দান এবং সংগৃহীত সোনা ও রুপোর সামগ্রীর ওজন ও মূল্যায়ন চলছে।
চিতোরগড় থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে চিতোরগড়-উদয়পুর হাইওয়েতে অবস্থিত, সানওয়ালিয়া শেঠ মন্দির বৈষ্ণব ভক্তদের কাছে পবিত্র স্থান। শোনা যায় পেশায় দুধ বিক্রেতা ভোলারাম গুর্জার ১৮৪০ স্বপ্নাদেশে একটি গ্রামে ভগবান কৃষ্ণের তিনটি সমাধিস্থ মূর্তির খোঁজ পান। সেই মতো খোঁড়াখুড়ির পরে তিনটি মূর্তি খুঁজে পাওয়া যায়। যা মন্দাফিয়া, ভাদসোদা এবং চাপড়-এ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর মধ্যে মন্দাফিয়ার মন্দিরটি সানওয়ালিয়া ধাম নামে পরিচিত। স্থানীয়দের বিশ্বাস বিখ্যাত হিন্দু কবি মীরাবাঈও এই মন্দিরে প্রার্থনা করেছিলেন।