Ram Lalla: এই রামলালার ‘মূর্তি’র বয়স আড়ইশো কোটি বছর, পৃথিবীর বয়সের অর্ধেক!

Ayodhya Ram Mandir: ৫১ ইঞ্চির রামলালার মূর্তিটি তৈরি হয়েছে এক ধরনের বিশেষ কালো গ্রানাইট পাথর দিয়ে। কর্নাটক থেকে আনানো হয়েছিল এই পাথর। তবে এই পাথরের বিশেষত্বটি হল তার বয়স। জানা গিয়েছে ২.৫ বিলিয়ন বা ২৫০ কোটি বছর পুরনো এই গ্রানাইটের পাথরটি।

Ram Lalla: এই রামলালার মূর্তির বয়স আড়ইশো কোটি বছর, পৃথিবীর বয়সের অর্ধেক!
অযোধ্যার রামলালা।Image Credit source: PTI

|

Jan 23, 2024 | 3:27 PM

নয়া দিল্লি: ৫০০ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। সোমবার, ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(PM Narendra Modi)-র হাতে উদ্বোধন হল অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir)। নতুন মন্দিরেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার। পাঁচ বছরের বালক রূপে রাম মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন রামলালা (Ram Lalla)। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে রামলালার সেই মূর্তির ছবি। কৃষ্ণ বর্ণের এই মূর্তি কীভাবে তৈরি হয়েছে জানেন?

৫১ ইঞ্চির রামলালার মূর্তিটি তৈরি হয়েছে এক ধরনের বিশেষ কালো গ্রানাইট পাথর দিয়ে। কর্নাটক থেকে আনানো হয়েছিল এই পাথর। তবে এই পাথরের বিশেষত্বটি হল তার বয়স। জানা গিয়েছে ২.৫ বিলিয়ন বা ২৫০ কোটি বছর পুরনো এই গ্রানাইটের পাথরটি।

বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব রক মেকানিক্সের ডিরেক্টর এইচএস ভেঙ্কটেশও নিশ্চিত করেছেন যে পাথরটির বয়স ২৫০ কোটি বছর।  ফিজিকো-মেকানিক্য়াল অ্যানালাইসিস করে এই পাথরের বয়স পরীক্ষা করা হয়েছে। ডঃ ভেঙ্কটেশ বলেছেন, “এই পাথর অভঙ্গুর এবং জলবায়ু পরিবর্তনেও এর প্রভাব পড়বে না। ন্যূনতম রক্ষণাবেক্ষণ করলেই এই পাথর হাজার বছর অক্ষত থাকবে।”

পৃথিবী সৃষ্টির পর ভূপৃষ্ঠ থেকে উঠে আসা লাভা ঠান্ডা হয়েই গ্রানাইট পাথর তৈরি হয়। ফলে গ্রানাইট পাথর অত্যন্ত শক্ত ও ভারী। এই পাথর কেটে তৈরি হয়েছে রামলালার মূর্তি। মাইসুরুর অরুণ যোগীরাজ নামক এক শিল্পী এই মূর্তি তৈরি করেছেন। পাঁচ প্রজন্ম ধরে তাঁরা স্থাপত্য শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের যে ৩০ ফুটের গ্রানাইটের মূর্তি রয়েছে, সেটিও অরুণ যোগীরাজ তৈরি করেছেন।

শুধু রামলালার মূর্তিই নয়, রাম মন্দিরও তৈরি হয়েছে পাথর দিয়ে। প্রাচীন নাগারা শৈলিতে তৈরি করা হয়েছে এই মন্দির। উন্নত মানের পাথর ব্য়বহার করা হয়েছে এই মন্দিরে। আধুনিক বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতি ব্যবহার করে এই মন্দির তৈরি করা হয়েছে। মাইসুরু জেলার জয়পুরা হোবলি গ্রাম থেকে এই পাথর আনা হয়েছে।