অযোধ্যা: প্রতীক্ষা শেষে রাম মন্দিরে হল রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা। নিষ্ঠাভরে গর্ভগৃহে বসে পুজো করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধান যজমান হিসেবে করলেন সংকল্পও। এই মন্দির প্রতিষ্ঠার আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তীর্থক্ষেত্রে যেতে দেখা গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। শুধু তাই নয়, অযোধ্য়ার এই মন্দির প্রতিষ্ঠার আগে কীভাবে তপস্যা করেছেন মোদী, সে কথা এদিন উল্লেখ করলেন গোবিন্দ গিরি মহারাজ। রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফে তিনি এদিন জানিয়েছেন, ২০ দিন আগেই সব নিয়মাবলী জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। রাম মন্দিরের জন্য মোদী কার্যত তপস্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন গোবিন্দ গিরি মহারাজ।
রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর গোবিন্দ গিরি মহারাজ বলেন, এটা শুধুমাত্র একটি মূর্তি প্রতিষ্ঠাই নয়, গোটা দেশের আত্মবিশ্বাসের প্রতীক এই মন্দির। তিনি এদিন প্রধানমন্ত্রীকে ‘মহাপুরুষ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “একজন মহাপুরুষ থাকেন, যাঁর জন্য যুগ পরিবর্তন হয়। সেই পরিবর্তনের জন্য সাধনা করতে হয়। মহারাজ আরও বলেন, আজ এমন একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে ভারত, যা শুধু গোটা দেশের নয়, গোটা বিশ্বের সৌভাগ্য।”
মহারাজ জানিয়েছেন, ২০ দিন আগে তাঁর কাছে খবর আসে যে, প্রধানমন্ত্রী এই মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেকে সিদ্ধ করতে চান, তাই কিছু নিয়ম লিখে পাঠাতে হবে। সেখানে তিন দিন উপবাস করার কথা বলা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী ১১ দিন উপবাস করেন। বলা হয়েছিল, তিনদিন মাটিতে শুতে হবে। তাপমাত্রা কম থাকা সত্ত্বেও ১১ দিন মাটিতে শুয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ট্রাস্টের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, একবেলা অন্ন বা ভাত খেতে পারবেন মোদী, কিন্তু তিনি ১১ দিন অন্নত্যাগ করেন।
মোদী সম্পর্কে যোগী মহারাজ বলেন, অনশনই সবথেকে বড় তপস্যা। এমন একজন তপস্বীকে রাষ্ট্রনেতা হিসেবে পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছত্রপতি শিবাজীর তুলনা করেন মহারাজ। তিনি বলেন, “অনেকেই জানেন না তিন দিন শিবের মন্দিরে থেকে শিবাজী বলেছিলেন তিনি সন্ন্যাস নিতে চান। তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। আর যিনি প্রধানমন্ত্রী, তাঁকে ভগবান হিমালয় থেকে ভারত মাতার সেবা করার জন্য পাঠিয়েছেন।”