কলকাতা ও নয়া দিল্লি: আরজি কর কাণ্ডে এবার প্রতিবাদে যোগ দিল ডাক্তারদের সর্বভারতীয় সংগঠন, ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ। ২৪ ঘণ্টার জন্য ধর্মঘটের ডাক দিল তারা। বৃহস্পতিবার (১৫ অগস্ট), আইএমএ জানিয়েছে, শনিবার (১৭ অগস্ট) সকাল ৬টা থেকে শুর হবে ধর্মঘট। চলবে রবিবার (১৮ অগস্ট) সকাল ৬টা পর্যন্ত। এই ২৪ ঘন্টা গোটা দেশের চিকিত্সকরা, শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পরিষেবা ছাড়া আর কোনও পরিষেবা দেবেন না। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণার্থী মহিলা চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যা অভিযোগের প্রতিবাদে এই ধর্মঘট বলে জানিয়েছে আইএমএ।
এক বিবৃতিতে ডাক্তারদের সংগঠনটি বলেছে, “সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিষেবা চালি থাকবে। হতাহতের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু ওপিডি-র () নিয়মিত কাজকর্ম হবে না এবং ইলেকটিভ সার্জারি (ঐচ্ছিক অস্ত্রোপচার, অর্থাৎ যেগুলি পরে করলেও অসুবিধা নেই) করা হবে না। যেখানে যেখানে আধুনিক মেডিসিনের ডাক্তাররা পরিষেবা দেন, সেই সকল সেক্টরে পরিষেবা প্রত্যাহার করা হবে। ডাক্তারদের ন্যায়সঙ্গত কারণের সঙ্গে গোটা দেশের সহানুভূতি চাইছে আইএমএ।”
এদিকে বুধবার রাতে, আরজি কর হাসপাতালের এই জঘন্য ঘটনার ন্যায়বিচার চেয়ে ‘রাত দখল’ প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছিল। হাজার হাজার মহিলা এবং পুরুষরাও এতে অংশ নেন। বাংলা ছাড়িয়ে গোটা দেশ এবং বিদেশেরও অনেক শহরে এই প্রতিবাদ হয়। তবে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের মধ্যে লুকিয়েই একদল দুষ্কৃতী আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, ‘ফেডারেশন অব রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন’ বা ‘ফোরডা’ও বৃহস্পতিবার থেকে ফের ধর্মঘট শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে, ১৩ অগস্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পরে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ডাক্তারদের এই সংগঠন।
এদিন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ফোরডা বলেছে, “এর পর থেকে যে যে ঘটনা ঘটেছে, বিশেষ করে গত রাতের হিংসা, তা আমাদের সবাইকে হতবাক ও ব্যথিত করেছে। এটা আমাদের পেশার এক অন্ধকার অধ্যায়। একটি সমিতি হিসাবে, আমরা আমাদের সহকর্মী আবাসিক চিকিত্সকদের সঙ্গে আমাদের অটল সংহতি জানাচ্ছি।”