Govinda: ১০০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা মামলায় পুলিশি জেরার মুখে ফিল্মস্টার গোবিন্দা

Govinda ponzi scam: ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগের আড়ালে কেলেঙ্কারির জাল বিছিয়েছে সোলার টেকনো অ্যালায়েন্স নামে এক সংস্থা। অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার দাবি, এই সংস্থার হয়ে বেশ কয়েকটি প্রচারমূলক ভিডিয়োয় অংশ নিয়েছেন গোবিন্দা। এই কেলেঙ্কারির তদন্তে গোবিন্দা এখনও পর্যন্ত সন্দেহভাজন বা অভিযুক্ত নন বলে স্পষ্ট করেছে ওড়িশা পুলিশ।

Govinda: ১০০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা মামলায় পুলিশি জেরার মুখে ফিল্মস্টার গোবিন্দা
সংস্থার হয়ে বেশ কয়েকটি প্রচারমূলক ভিডিয়োয় অংশ নিয়েছেন গোবিন্দা (ফাইল ছবি)Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2023 | 1:44 PM

ভুবনেশ্বর: পুলিশি জেরার মুখে পড়তে চলেছেন বলিউড তারকা গোবিন্দা। ভারত জুড়ে ১,০০০ কোটি টাকার অনলাইন পঞ্জি কেলেঙ্কারি তদন্তের বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে, ওড়িশা অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা। বেশ কয়েকটি দেশে ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগের আড়ালে কেলেঙ্কারির জাল বিছিয়েছে সোলার টেকনো অ্যালায়েন্স নামে এক সংস্থা। পিরামিড গঠনে কাজ করে তারা। অর্থাৎ, মাথার উপরে থাকে একজন। তার নীচে ধাপে ধাপে ছড়ায় সংগঠন। অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার দাবি, এই সংস্থার হয়ে বেশ কয়েকটি প্রচারমূলক ভিডিয়োয় অংশ নিয়েছেন গোবিন্দা। সেই ভিডিয়োগুলিতে তিনি সংস্থার কার্যক্রমকে সমর্থন করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার ইন্সপেক্টর জেনারেল জেএন পঙ্কজ জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই ওড়িশা পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার একটি দল মুম্বইয়ে যাবে। ফিল্মস্টার গোবিন্দকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তারা। সোলার টেকনো অ্যালায়েন্স সংস্থার হয়ে শুধু প্রচারমূলক ভিডিয়োয় অংশই নেননি, গত জুলাই মাসে গোয়াতে সংস্থার এক বড় অনুষ্ঠানেও গোবিন্দা যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে, এই কেলেঙ্কারির তদন্তে গোবিন্দা এখনও পর্যন্ত সন্দেহভাজন বা অভিযুক্ত নন বলে স্পষ্ট করেছে ওড়িশা পুলিশ। তারা জানিয়েছে, তদন্তের পরই এই কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রে তাঁর সঠিক ভূমিকা জানা যাবে। যদি দেখা যায়, গোবিন্দার সঙ্গে শুধুমাত্র সংস্থার প্রচারের জন্য গোবিন্দার ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছিল, তাহলে তাঁকে এই মামলার সাক্ষী করা হবে। আর যদি দেখা যায়, তাঁর ভূমিকা আরও গভীর, সেই ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওড়িশা পুলিশ জানিয়েছে, ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগের নামে ভদ্রক, কেওনঝর, বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ এবং ভুবনেশ্বরের অন্তত ১০,০০০ মানুষের কাছ থেকে ৩০ কোটি টাকা তুলেছিল সংস্থাটি। তবে শুধু ওড়িশা নয়, বিহার, উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা, দিল্লি, ঝাড়খন্ড এবং ভারতের আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে বহু মানুষকে ঠকিয়ে তারা কোটি কোটি টাকা তুলেছে। ইতিমধ্যেই এই মামলার তদন্তে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে ওড়িশা পুলিশ। সংস্থার ভারতীয় প্রধান গুরতেজ সিং সিধু এবং ওড়িশা রাজ্যের প্রধান নিরোদ দাসকে গত ৭ অগস্ট গ্রেফতার করা হয়েছিল। সিধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের জন্য ১৬ অগস্ট গ্রেফতার করা হয় ভুবনেশ্বরের বিশিষ্ট বিনিয়োগ উপদেষ্টা রত্নাকর পালাইকে। সংস্থার প্রধান ডেভিড গেজ হাঙ্গেরির নাগরিক। তার বিরুদ্ধেও লুকআউট সার্কুলার জারি করা হয়েছে।