NCP Rift: সামনে তখন দাঁড়িয়ে শরদ পাওয়ার, গটগটিয়ে সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন ভাইপো অজিত, এবার কি ভাঙন এনসিপিতেও?

NCP Rift: মাঝপথে সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও, পরে তিনি ফেরত আসেন। কিন্তু সেই সময় শরদ পাওয়ার সভা শেষের বক্তব্য রাখছিলেন বলে, পরে আর তিনি বক্তব্য রাখার সুযোগ পাননি।

NCP Rift: সামনে তখন দাঁড়িয়ে শরদ পাওয়ার, গটগটিয়ে সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন ভাইপো অজিত, এবার কি ভাঙন এনসিপিতেও?
এবার কি এনসিপিতেও ভাঙন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2022 | 12:04 PM

মু্ম্বই: শিবসেনার পর কি এবার ভাঙন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টিতেও? দলীয় বৈঠক চলাকালীনই কাকা শরদ পাওয়ারের সামনে থেকে উঠে বেরিয়ে গেলেন ভাইপো অজিত পাওয়ার। যে সময়ে তাঁকে বক্তব্য রাখার জন্য ডাকার কথা ছিল, ঠিক তার আগের মুহূর্তেই দলীয় বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। তাঁর এই আকস্মিক বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে দলে ভাঙনের তত্ত্ব।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির জাতীয় বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক ছেড়েই আচমকা বেরিয়ে যান অজিত পাওয়ার। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন শরদ পাওয়ারও। ওই সময় মঞ্চে উঠেছিলেন জয়ন্ত পাটিল। দলের অন্দরেই জল্পনা যে, জয়ন্ত পাটিলকে অজিত পাওয়ারের আগে বলার সুযোগ দেওয়ার কারণেই তিনি বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান। যদিও পরে তিনি নিজেই জানান যে, এই বৈঠকে তিনি কথা বলেননি কারণ এটা জাতীয় স্তরীয় বৈঠক ছিল।

 এনসিপি নেতা প্রফুল্ল পটেল মঞ্চে উঠে ঘোষণা করেন যে, সভার শেষ বক্তব্য় রাখবেন শরদ পাওয়ার। তার আগে মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন অজিত পাওয়ার। কিন্তু দেখা যায় যে, তিনি নিজের আসনেই নেই। পরে তিনি জানান যে, অজিত পাওয়ার শৌচালয়ে গিয়েছেন, ফিরে এসে তিনি বক্তব্য রাখবেন। সঙ্গে সঙ্গে দলীয় সমর্থকরা তার নামে স্লোগান দিতে থাকেন। এদিকে, সেই সময়ই এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলেকে দেখা যায় অজিত পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলতে। তিনি যাতে সভায় ফিরে আসেন এবং মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখেন, তার জন্য অনুরোধ করতেই দেখা যায় সুপ্রিয়া সুলেকে।

মাঝপথে সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও, পরে তিনি ফেরত আসেন। কিন্তু সেই সময় শরদ পাওয়ার সভা শেষের বক্তব্য রাখছিলেন বলে, পরে আর তিনি বক্তব্য রাখার সুযোগ পাননি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস যখন জোট বেঁধে মহারাষ্ট্র সরকার গঠন করা নিয়ে আলোচনা করছিল, সেই সময় বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস, উপমুখ্য়মন্ত্রী ছিলেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। কিন্তু ওই সরকারের মেয়াদ কেবল ৮০ ঘণ্টা ছিল।

রবিবারের দলীয় বৈঠকে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির তরফে শরদ পাওয়ারকেই আগামী চার বছরের জন্য সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। ১৯৯৯ সালে দল গঠনের পর থেকেই তিনি এই পদে রয়েছেন।