নয়া দিল্লি: ফের সারা দেশ জুড়ে বনধের (Bandh) ডাক দিল সংযুক্ত কিসান মোর্চা (Samyukta Kisan Morcha)। তবে পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি আদায় করতে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবেই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে কৃষকরা (Farmers Protest)। সাধারণ মানুষের কাছে কোনও প্রকার সমস্যা না হয়, সেই চেষ্টাও করা হবে সর্বসম্মতভাবে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের ভারত বনধ সফল করতে ইতিমধ্যেই কৃষকদের জন্য নির্দেশিকাও প্রকাশ করেছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা।
একটি বিবৃতিতে সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৪টে অবধি বনধ জারি থাকবে। এই সময়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের স্কুল, অফিস, বাজার, কারখানা সহ সমস্ত প্রতিষ্ঠানই বন্ধ রাখা হবে। সরকারি ও বেসরকারি যানবাহনও চলতে দেওয়া হবে না। কোনও অনুষ্ঠানও করতে দেওয়া হবে না। তবে জরুরি পরিষেবা যেমন অ্যাম্বুলেন্স, দমকল ইত্যাদিতে ছাড় দেওয়া হবে।
সংযুক্ত মোর্চার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সকলকে কৃষকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রতিবাদে সামিল হতে অনুরোধ করা হচ্ছে। শান্তিপূর্ণভাবে বনধ করতে দিলে জনগণও কম সমস্যায় পড়বে। বনধের বিষয়বস্তু হবে কৃষক বিরোধী মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ভারত বনধ।”
৪০ টি কৃষক সংগঠনের মিলিত সংগঠন সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, বনধের পরিকল্পনার জন্য মুম্বইয়ে রাজ্যস্তরে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।ওই দিনেই উত্তর প্রদেশের সীতাপুরে কিসান মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর উত্তরাখণ্ডের রুরকিতেও কিসান মহাপঞ্চায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে।
টিকরি ও সিঙ্ঘু সীমান্তে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে যে পাঁচদিনের কবাডি লিগের আয়োজন করেছে কৃষকরা, তাও জানানো হয় সংযুক্ত কিলান মোর্চার তরফে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে কবাডি দলগুলি অংশ নেবে এব বিজেতাদের নগদ পুরস্কারও দেওয়া হবে।
আন্দোলনের প্রসঙ্গে সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে জানানো হয়, যতদিন না সরকার তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করবে, তারা আন্দোলন চালিয়েই যাবে। আন্দোলনের নয় মাস কেটে যাওয়ার পরও সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপই করা হচ্ছে না। স্বেচ্ছায় নয়, কেন্দ্র সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের জন্যই কৃষকরা দীর্ঘ সময় ধরে দিল্লির সীমান্তে বসে রয়েছে এবং আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। প্রখর রোদ থেকে শুরু করে ভারী বৃষ্টি, প্রবল ঠাণ্ডার মধ্যেও কৃষকরা নিজেদের দাবি পূরণের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানানো হয় সংগঠনের তরফে।
তাদের দাবি, আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত ও জীবনযাত্রাকে সুরক্ষিত করতেই এই আন্দোলন জারি রাখা হয়েছে। যতদিন কেন্দ্র দাবি পূরণ করছে না, ততদিন আন্দোলন জারিই থাকবে।
আরও পড়ুন: Congress: ‘কংগ্রেসের কাছ থেকে এত কিছু আশা করাই উচিত নয়’, ক্যাপ্টেনের ইস্তফায় ব্যথিত বিরোধী শিবিরও!