AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Congress: ‘কংগ্রেসের কাছ থেকে এত কিছু আশা করাই উচিত নয়’, ক্যাপ্টেনের ইস্তফায় ব্যথিত বিরোধী শিবিরও!

Opposition leaders React to Amarinder Singh's Resign: জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, "আমার মনে হয় কংগ্রেসের কাছ থেকে আশা করাই উচিত নয়। রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা নিজেদের মধ্যেই লড়াই করতে ব্যস্ত, অন্য দলের সঙ্গে আর কি লড়বে।"

Congress: 'কংগ্রেসের কাছ থেকে এত কিছু আশা করাই উচিত নয়', ক্যাপ্টেনের ইস্তফায় ব্যথিত বিরোধী শিবিরও!
ইস্তফা পত্র জমা দিচ্ছন অমরিন্দর সিং। ছবি:PTI
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2021 | 8:14 AM
Share

চণ্ডীগঢ়: অপমানিত হয়েই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)। তারপরই একের পর এক প্রতিক্রিয়া মিলতে শুরু করেছে বিরোধীদের কাছ থেকে। তবে সকলেরই মোদ্দা কথা একটাই, “কংগ্রেস(Congress)-র কাছ থেকে এত বেশি আশা করাই উচিত নয়।”

বিজেপি (BJP) ছেড়ে কংগ্রেসে নভজ্যোত সিং সিধু(Navjot Singh Sidhu)-র প্রবেশের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিরোধ শুরু হয়। বিগত কয়েক মাস ধরেই সেই দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছিল। সিধু এবং তাঁর ঘনিষ্ট বিধায়করা একাধিকবার দাবি জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে যেন অমরিন্দর সিং-কে সরিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু সে সময়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বারংবারই জানানো হয়েছিল, অমরিন্দরের নেতৃত্বেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে কংগ্রেস। তবে শনিবারই বিধায়কদের দাবিতে কংগ্রেসের পরিষদীয় বৈঠক ডাকাকে কেন্দ্র করে বেজায় চটেন অমরিন্দর। বৈঠকের আগেই তিনি ঘনিষ্ট বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং রাজভবনে গিয়ে ইস্তফা দেন।

ইস্তফা দেওয়ার পর অমরিন্দর জানান, “আজ সকালেই আমি সোনিয়া গান্ধীকে(Sonia Gandhi) সমস্ত কথা জানিয়েছি। আমি অপমানিত বোধ করছিলাম। এত অপমান সহ্য করে দলে থাকা সম্ভব নয়।” তিনি স্পষ্ট বলেন, “এই ধরনের অপমান যথেষ্ট। এই নিয়ে তিনবার অপমান করা হল। এই ধরনের হেনস্থা সহ্য করে আমি দলে থাকতে পারব না।”

এ দিকে, অমরিন্দরের ইস্তফার পরই সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধী নেতারা। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah) বলেন, “আমার মনে হয় কংগ্রেসের কাছ থেকে আশা করাই উচিত নয় যে তারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা নিজেদের মধ্যেই লড়াই করতে ব্যস্ত, অন্য দলের সঙ্গে আর কি লড়বে।”

তিনি আরও যোগ করে বলেন, “আমি কংগ্রেসের বিষয়ে নাক গলাতে চাই না। তাদের দল, যা ইচ্ছে সিদ্ধান্ত নিক। তবে কংগ্রেস যাই-ই সিদ্ধান্ত নেয়, তার সরাসরি প্রভাব এনডিএ জোটের বাইরে সমস্ত রাজনৈতিক দলের উপরই পড়ে, কারণ প্রায় ২০০টি আসনে আমরা কংগ্রেস বনাম বিজেপির লড়াই দেখি লোকসভা নির্বাচনে।”

শিরোমণি আকালি দলের সভাপতি সুখবিন্দর সিং বাদল(Sukhbinder Singh Badal)-ও টুইট করে লেখেন যে, অমরিন্দরের ইস্তফায় কংগ্রেস স্বীকার করে নিল যে সরকার হিসাবে তারা ব্যর্থ। তিনি বলেন, “কেবল রক্ষী বদল করে কংগ্রেসের ডুবনেত জাহাজকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না।”

হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ (Anil Vij) সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন নভজ্যোত সিং সিধুর বিরুদ্ধেই। তিনি লেখেন, “ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। তবে এর চিতেরপট অনেক আগেই লেখা হয়ে গিয়েছিল, যেদিন সিধু কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিল।” কংগ্রেসে নৌকা ডুববে জানা থাকলেও বর্তমানে তা ভয়াবহভাবে ডুবছে। পঞ্জাব কংগ্রেস তারই উদাহরণ, এমনটাই জানান অনিল ভিজ।

আম আদমি পার্ট্র সাংসদ সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh) জানান, পঞ্জাবে কংগ্রেসের শেষের দিন এসে গিয়েছে এবং এরফলে লাভবান হবে আম আদমি পার্টিই। রাজ্যের বেকারত্ব, কৃষক আন্দোলন, মাদক চক্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি অদেখা করে কংগ্রেস কেবল দল বাচাতেই ব্য়স্ত ছিল, এমনটাই অভিযোগ আপ নেতার।

আরও পড়ুন: Tiffin Box Bomb: চকচকে স্টিকার দেখেই বাক্সটি খুলবে কোনও এক শিশু, তারপরই…! ফের নাশকতার ছক বানচাল করল পুলিশ