Satta Sammelan: নিজে জিততে না পারলেও কি হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন ওয়েইসি? প্রশ্ন শুনে মিম প্রধান বলেন…
Satta Sammelan: দেশের একাধিক রাজ্যে তাঁর সংগঠন ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। তা নিয়ে অনেক আঞ্চলিক দলেরই খোঁচা খেতে হয়েছে আসাদউদ্দিনের দলকে। কেউ বলেছেন, বিজেপির বি টিম। কেউ আবার অন্য কোনও বিশেষণে বিঁধেছেন মিমকে। রাজনৈতিক মহলে এমনও শোনা যায়, কেউ কেউ বলেন, জিততে না পারলেও হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন ওয়েইসি। সত্যিই কি তাই?
নয়া দিল্লি: রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে অন্যতম চর্চিত মুখ তিনি। না-পসন্দ কোনও ইস্যুতে অকপটে ঝাঁঝালো মন্তব্য করতে পিছু হটেন না তিনি। আজ টিভি নাইন নেটওয়ার্কের সত্তা সম্মেলনের মঞ্চে তাঁর আলোকোজ্জ্বল উপস্থিতি। কথা হচ্ছে মিম প্রধান তথা হায়দরাবাদে সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে নিয়ে। টিভি নাইন নেটওয়ার্কের ফ্ল্যাগশিপ কনক্লেভ হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডের তৃতীয় দিনে সত্তা সম্মেলনের মঞ্চে নিজের গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরলেন তিনি।
দেশের একাধিক রাজ্যে তাঁর সংগঠন ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। তা নিয়ে অনেক আঞ্চলিক দলেরই খোঁচা খেতে হয়েছে আসাদউদ্দিনের দলকে। কেউ বলেছেন, বিজেপির বি টিম। কেউ আবার অন্য কোনও বিশেষণে বিঁধেছেন মিমকে। রাজনৈতিক মহলে এমনও শোনা যায়, কেউ কেউ বলেন, জিততে না পারলেও হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন ওয়েইসি। সত্যিই কি তাই? সত্তা সম্মেলনের মঞ্চে এই নিয়ে প্রশ্নে সোজাসাপ্টা উত্তর দিলেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
ওয়েইসির বক্তব্য, কোনও সংগঠনের শক্তি পরীক্ষা করতে গেলে নির্বাচনে লড়া দরকার। বললেন, ‘যতক্ষণ আপনি ভোটে লড়বেন না, ততক্ষণ আপনি নিজের দলের শক্তি কীভাবে দেখাবেন? সেই কারণেই আমরা নির্বাচনে লড়ি। অনেক সময় সাফল্য আসে না। কিন্তু আমরা নির্বাচনে লড়ে যাই, যাতে এই সফরকে আমরা চালু রাখতে পারি। আজ নয় তো কাল, সাফল্য নিশ্চয়ই আসবে।’
উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১১ রাজ্যে নিজেদের দলের সংগঠন বিস্তার করছেন ওয়েইসি। তবে দিল্লির মসনদ পর্যন্ত পৌঁছানোর কোনও ইচ্ছা নেই বলেই এদিন সত্তা সম্মেলনের মঞ্চে বললেন হায়দরাবাদের সাংসদ। সাংগঠনিক বিস্তারকে শুধুই একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবেই ব্যাখ্যা করছেন তিনি।