চেন্নাই: গত সপ্তাহের শেষভাগ থেকেই লাগাতার ভারী বৃষ্টি(Heavy Rain)-তে ভাসছে তামিলনাড়ু (Tamil Nadu)। ইতিমধ্যেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে একাধিক জেলা। আগামী দুই দিনও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় সাধারণ মানুষকে যথাসম্ভব বাড়িতেই থাকার অনুরোধ করলেন ডিজিপি সি শৈলেন্দ্র বাবু।
নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে আগামী দুই দিনও বৃষ্টিপাত কমার সম্ভাবনা না থাকায়, তামিলনাড়ুর নয়টি জেলায় সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চেন্নাই. কাঞ্চিপুরম, থিরুভাল্লুর, কাড্ডালোর, নাগাপাত্তিনাম, থাঞ্জাভুর সহ একাধিক জেলায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
একটানা অতি ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে চেন্নাইয়ের একাধিক নীচু জায়গা সম্পূর্ণরূপে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত জল বের করতে তিনটি জলাধারের গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির জলে ডুবে গিয়েছে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর। অতি বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার খবর পেয়েই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন(MK Stalin)-র সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তিনি রাজ্যের পরিস্থিতির খোঁজ নেন এবং পূর্ণ সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্যে নেমেছে এনডিআরএফ(NDRF)-র চারটি দল।
কোয়েম্বাটোর, কারুর, তিরুনেলিভেলি, ভিল্লুপুরম সহ একাধিক জেলাজুড়ে মোট ৫ হাজার ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশনের তরফেও ১৬০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ১০৭০ নম্বরে ২৪ ঘণ্টার জন্য একটি জরুরি নম্বরও চালু করা হয়েছে চেন্নাইয়ে বৃষ্টি সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা ও অভিযোগ শোনার জন্য।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর পূর্ব মৌসুমী বায়ু ও নিম্নচাপের সাঁড়াশি চাপে ৯ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর অবধি ভারী বৃষ্টি হবে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র প্রদেশের (Andhra Pradesh) উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। তামিলনাড়ুতে শনিবার থেকে যে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে, তা আগামী চারদিনও জারি থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে তৈরি নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলেও ১১ নভেম্বর থেকে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র উপকূলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।