নয়া দিল্লি: ৫০ হাজারেরও বেশি ফোন নম্বরে আড়ি পাতা হয়েছিল পেগাসাস (Pegasus) স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে, এই বিষয়টি সামনে আসতেই কেন্দ্রে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ বার কেন্দ্রের তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে সংসদীয় কমিটি(Parliamentary Standing Committee)-তেও এই বিষয়টি তোলা হবে। কংগ্রেস সাংসদ শশী থরুর(Shashi Tharoor)-র নেতৃত্বে আগামী ২৮ জুলাই এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
এ দিন স্ট্যান্ডিং কমিটির তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষা ও গোপনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।” এই বৈঠকে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রতিনিধিদেরও ডাকা হয়েছে এবং এই বিষয়ে তাদের মতামতও নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
রবিবারই সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে সাধারণ নাগরিকের ফোনে আড়ি পাতার বিষয়টি সামনে আনা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেই এই স্পাইওয়্যারটি থাকায় ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে নজরদারি চালানোর অভিযোগ করে বিরোধীরা। এই নিয়ে বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিগত দু’দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে।
পেগাসাস প্রজেক্ট নামক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সহ বিভিন্ন বিরোধী নেতা, দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রশান্ত কিশোর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রায় ৪০ জন সাংবাদিকের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল। মঙ্গলবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্য়ানুয়েল ম্যাক্রঁ-র নামও পেগাসাসের তালিকায় ছিল বলে জানা যায়। যদিও কেন্দ্রের তরফে সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালেও পেগাসাসের কারণে হোয়াটসঅ্যাপের সুরক্ষা বিপন্ন কিনা, তা নিয়ে সংসদীয় বিষয়ক কমিটিতে আলোচনা করা হয়। সম্প্রতি ফের একবার পেগাসাস প্রসঙ্গ উঠে আসতেই কংগ্রেস সাংসদ শশী থরুর বলেন, “ভারতীয়দের ফোনে পেগাসাসের মাধ্যমে নজরদারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যেহেতু এই প্রযুক্তিটি কেবল সরকারের কাছেই বিক্রি করা হয়, সেই কারণে সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদি কেন্দ্রীয় সরকার বলে যে তারা করেনি, অন্য কোনও দেশের সরকার নজরদারি চালিয়েছে, তবে তা আরও উদ্বেগের বিষয়। দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।” আরও পড়ুন: একই সঙ্গে আলফা ও ডেল্টা! ভারতে মিলল ‘বিরল’ সংক্রমণের হদিশ