নয়া দিল্লি: প্রেমের সম্পর্কের পরিণতি যে এতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা এখনও কল্পনা করতে পারছেন না অনেকে। শ্রদ্ধা ওয়াকার নামক বছর ২৭-র এক যুবতীকে খুন ও তাঁর দেহের ৩৫ টুকরো করে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই স্তম্ভিত গোটা দেশ। অভিযুক্ত আফতাব ইতিমধ্য়েই খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। পুলিশি জেরায় তিনি দাবি করেছেন, বিয়ের জন্য ক্রমাগত চাপ দিত শ্রদ্ধা, তাতেই বিরক্ত হয়ে শ্রদ্ধাকে রাগের বশে খুন করে। কিন্তু আফতাবের এই দাবি মানতে নারাজ শ্রদ্ধার বন্ধুরা।
নিউজ ৯-র তরফে শ্রদ্ধা ওয়াকারের বন্ধু রজত শুক্লার সঙ্গে কথা বলা হয়। সেখানেই রজত জানান, শ্রদ্ধা মোটেই আফতাবকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল না। বরং আফতাবের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইত সে। এ কথা একাধিকবার বাল্যবন্ধুকে জানিয়েছিল শ্রদ্ধা। রজত শুক্লা বলেন, “শ্রদ্ধা খুব চনমনে ছিল। অনেক বন্ধু বানাতে, তাদের সঙ্গে ঘুরতে, সময় কাটাতে পছন্দ করত শ্রদ্ধা। কিন্তু ২০১৮ সালের শেষভাগ থেকে শ্রদ্ধা বদলে যেতে শুরু করে। ছটফটে, প্রাণোচ্ছল একটি মেয়ে থেকে ধীরে ধীরে সে নিস্তেজ, চুপচাপ হয়ে পড়ে। কারোর সঙ্গেই আর বেশি কথা বলত না শ্রদ্ধা। পরে আমরা জানতে পারি, ও আফতাব নামের একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে পরিচয় তাদের। প্রথমে আফতাব সম্পর্কে ভাল কথাই বলেছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। শ্রদ্ধা ওর প্রিয় বন্ধুকে জানিয়েছিল যে আফতাব ওর গায়ে হাত তুলত।”
রজত আরও বলেন, “আফতাব যে গল্প সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আফতাব দাবি করছে যে শ্রদ্ধা তাঁকে বিয়ের জন্য় চাপ দিত, এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং শ্রদ্ধা এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল। আমার মনে হয় ওকে ব্ল্য়াকমেইল করা হচ্ছিল।”