Snake Bite Murder: সাপের কামড় খাইয়ে খুন নতুন ট্রেন্ড হয়ে উঠছে! মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Oct 06, 2021 | 10:05 PM

Supreme Court: সাপুড়েদের থেকে বিষাক্ত সাপ নিয়ে এসে, তারপর সেই সাপের কামড় খাইয়ে কাউকে খুন করে ফেলা হচ্ছে। মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের।

Snake Bite Murder: সাপের কামড় খাইয়ে খুন নতুন ট্রেন্ড হয়ে উঠছে! মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের
রাজস্থানে এই ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের (ফাইল ছবি)

Follow Us

নয়া দিল্লি : একটু গ্রামের দিকে গেলে সাপের কামড়ে মৃত্যু খবর আকছাড় পাওয়া যায়। বেশিরভাগটাই সচেতনতার অভাব। কিন্তু ভাবুন তো সাপের কামড়ে যদি খুন করা হয়? সতর্ক হোন, সম্প্রতি এমন ট্রেন্ড বাড়ছে। এই কথা বলছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টে এক মামলার শুনানি চলছিল প্রধান বিচারপতি এনভি রামন, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলির এক বেঞ্চে। সেই শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, এটা আজকাল এক নতুন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাপুড়েদের থেকে বিষাক্ত সাপ নিয়ে এসে, তারপর সেই সাপের কামড় খাইয়ে কাউকে খুন করে ফেলা হচ্ছে। রাজস্থানে এমন ঘটনা এখন খুব স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।” এই মন্তব্যের পর অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।

রাজস্থানে কৃষ্ণ কুমার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। ২০১৯ সালে এক মহিলা সাপের কামড়ে মারা গিয়েছেন। অভিযোগ, কৃষ্ণ নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এক মহিলাকে সাপের কামড় খাইয়েছেন। অর্থাৎ, খুনের অভিযোগ। আজ সেই মামলায় অভিযুক্তর জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী আদিত্য চৌধুরি। তাঁর বক্তব্য, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

কৃষ্ণ কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ওই ব্যক্তি মূল অভিযুক্তের সঙ্গে এক সাপুড়ের কাছে গিয়েছিল এবং সেখান থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি সাপ কিনে এনেছিল। কিন্তু অভিযুক্তর আইনজীবীর বক্তব্য, তাঁর মক্কেল জানেই না কেন তার বন্ধু সেই সাপ বা বিষ কিনছিল। তাকে বলা হয়েছিল কিছু ঔষধি কাজের জন্য ওগুলি দরকার ছিল।

অভিযুক্তর আইনজীবীর আরও বক্তব্য, কৃষ্ণ কুমার ওই মহিলার বাড়িতে যখন গিয়েছিল, তখনও তার সঙ্গে কোনও সাপ ছিল না। আইনজীবী আইন চৌধুরি বলেন, তাঁর মক্কেল একজন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। অভিযুক্তের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাকে যেন জামিন দেওয়া হয়।

ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৯ সালে। সেই সময় রাজস্থানের ঝুনঝুনু গ্রামের এক মহিলা তার পুত্রবধূকে সাপের কামড় খাইয়ে খুন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। খবরের শিরোনামে জায়গাও করে নিয়েছিল সেই ঘটনা। মৃতা আলপনার সঙ্গে নাকি জয়পুরের বাসিন্দা মনীষের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।

আলপনা এবং তাঁর শাশুড়ি সুবোধ দেবী একইসঙ্গে থাকতেন। আলপনার স্বামী সচিন এবং শ্যালক সেনাবাহিনীতে কর্মরত এবং পেশাগত কারণে বাড়ির বাইরে থাকতেন। সুবোধ দেবীর স্বামী রাজেশও চাকরির সুবাদে বাড়ি থেকে দূরে থাকতেন।

সচিন এবং আলপনার বিয়ে হয়েছিল ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর। আলপনা নাকি সারাদিন কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। সুবোধ দেবী যখন বিষয়টি জানতে পারেন তখন তিনি তার পুত্রবধূকে সবসময় ফোনে থাকা নিয়ে খোঁচা দিতে শুরু করেন।

যখন শাশুড়ি প্রেমের গল্পে বাধা হয়ে উঠতে শুরু করেন, তখন আলপনা এবং তার প্রেমিক মণীশ সুবোধ দেবীকে এমনভাবে হত্যার পরিকল্পনা করে যাতে কেউ কিছু বুঝতে না পারে।

২০১৯ সালের ২ জুন সুবোধ দেবীকে সাপে কামড়ায়। মৃত্যুর দেড় মাস পর আলপনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে সন্দেহ করে এবং পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। তারা সেই সময় বেশ কিছু প্রমাণও দিয়েছিল। পরিবার পুলিশকে আলপনা এবং মনীশের ফোন নম্বর দিয়েছিল।

পুলিশ রেকর্ড অনুসারে, ঘটনার দিন ২ জুন, আলপনা এবং মণীশের মধ্যে ১২৪ বার ফোনালাপ হয়েছিল। আর কৃষ্ণ কুমারের সঙ্গে ১৯ বার ফোনে কথা বলেছিল আলপনা। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে এবং ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি আলপনা, মনীশ এবং তার বন্ধু কৃষ্ণ কুমারকে সুবোধ দেবী হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে।

আরও পড়ুন : Durga Puja: পুজোর গাইডলাইনে বেমালুম ‘ভুলেছে’ হাইকোর্টের ‘নো এন্ট্রি’ নির্দেশ, রাজ্যকে নোটিস আইনজীবীর

Next Article