বেঙ্গালুরু : কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-র ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। ৭ সেপ্টেম্বর রাহুল গান্ধী এই যাত্রা শুরু করেছিলেন। ৩০ সেপ্টেম্বর এই যাত্রা পৌঁছোয় বিজেপি শাসিত কর্নাটকে। আর বৃহস্পতিবার ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-র এক মাসে এই যাত্রায় যোগ দিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। মাকে পাশে নিয়েই পদব্রজে বেরোলেন রাহুল। এই যাত্রায় যোগ দেওয়ার জন্য সোমবারই কর্নাটকে গিয়েছেন সনিয়া গান্ধী।
স্বাস্থ্যের কারণে বেশ কিছুদিন জনসভা থেকেই দূরে ছিলেন সনিয়া গান্ধী। এই বছরই দু’বার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে থেকেও কিছুদিন চিকিৎসা করাতে হয়। তিনি শেষ ২০১৬ সালে বারাণসীতে রোড শোতে অংশ নিয়েছিলেন। তারপর এই প্ এবার স্বাস্থ্যের সমস্যা কাটিয়ে ছেলের সঙ্গে পদযাত্রায় যোগ দিলেন তিনি। এদিন মাণ্ডিয়াতে এই যাত্রায় যোগ দিয়ে স্বল্প দূরত্ব হেঁটে তিনি গাড়িতে ওঠেন। পদযাত্রায় পাশ থেকে কংগ্রেস কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। এদিকে এদিন কর্নাটকের কংগ্রেস কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে তিনি বাল্লারি থেকে একটি জনসভায় বক্তৃতা দেবেন। অন্যদিকে, কর্নাটকে ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নেওয়ার আগেই গতকাল বেগুর গ্রামের একটি মন্দিরে যান সনিয়া। বুধবার সেখানে পুজোও দেন।
मां ❤️ pic.twitter.com/0UgqF9hfw6
— Congress (@INCIndia) October 6, 2022
এদিকে কংগ্রেসের তরফে একটি ছবি পোস্ট করা হয় টুইটারে। সেই ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘মা’। ছবিতে দেখা যায়, পদযাত্রার সময় রাহুল গান্ধী তাঁর মায়ের জুতোর ফিতে বেঁধে দিচ্ছেন। এদিকে রাহুল গান্ধী নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এদিনের পদযাত্রার ছবি আপলোড করে লিখেছেন, ‘কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধী সর্বদা কংগ্রেসের ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে গণতন্ত্র ও সম্প্রীতিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। আজ দেশের সেই মূল্যবোধ রক্ষা করতে তিনি হাঁটছেন। আমার আজকে গর্ব হচ্ছে, আমি তাঁর সঙ্গে হাঁটছি।’ প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করেছিলেম রাহুল গান্ধী। দেশের ১২ টি রাজ্য ঘুরে কন্য়াকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ৩,৭৫০ কিলোমিটার পদযাত্রা করা হবে কংগ্রেসের তরফে। কংগ্রেসের বক্তব্য, বিজেপির ‘বিভাজনের রাজনীতির’ বিরুদ্ধে ‘ভারতকে একত্রিত করতে’ এই যাত্রার পরিকল্পনা করা হয়েছে।