নয়া দিল্লি: দিল্লিতে দূষণ তীব্রতর। নাক-মুখ দিয়ে সরাসরি ফুসফুসে ঢুকছে ধূলিকণা। শিশু, বয়স্ক ও অ্যাজমা রোগীদের ক্ষেত্রে দিল্লি মারাত্মক হয়ে উঠেছে। তাই আপাতত স্থান বদল করলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। দিল্লি থেকে রাজস্থানের জয়পুরে গিয়েছেন তিনি। দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সনিয়া গান্ধী জয়পুরেই থাকবেন বলে কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে ভোটমুখী রাজস্থানে সনিয়া গান্ধীর স্থানান্তর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সনিয়া গান্ধী দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় আক্রান্ত। মাস দুয়েক আগেও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই দিল্লির বর্তমান বাতাস তাঁর পক্ষে ‘বিষ’। দিল্লির দূষণে সনিয়া গান্ধীর শ্বাসযন্ত্রে নতুন করে সংক্রমণ ছড়াতে পারে এবং শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে বলে চিকিৎসকদের আশঙ্কা। মঙ্গলবার দিল্লির বায়ুর গুণগত মান ছিল ৩৭৫, যা গুরুতর পর্যায়ের। অন্যদিকে, জয়পুরের AQI ৭২, যা মধ্যবর্তী ক্যাটেগরির মধ্যে পড়ে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে মঙ্গবার রাতেই তিনি দিল্লি থেকে জয়পুরে পৌঁছন। এদিকে, বিধানসভা নির্বাচনে জমি শক্ত করতে ৫ রাজ্যে জোরকদমে ভোট প্রচারে বেরিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তিনিও বুধবার জয়পুরে ফিরে আসবেন এবং পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার নির্বাচনী ব়্যালি করবেন। তবে সেই ব়্যালিতে সনিয়া গান্ধীকেও দেখা যাবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৩ নভেম্বর রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর জয়পুরে স্থানান্তর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও রাজধানীর দূষণের জেরে সনিয়া গান্ধীর স্থান বদল অবশ্য এটাই প্রথম নয়। ২০২০ সালের নভেম্বরেও তিনি দিল্লির দূষণে জেরবার হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে গোয়ায় গিয়েছিলেন। তবে এবার দেশের বিভিন্ন স্থান থাকতে তিনি কেন ভোটমুখী রাজস্থানের রাজধানীতে গেলেন, এর প্রভাব কি ভোটবাক্সে পড়বে, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।