নয়া দিল্লি: ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করতেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। এমনই মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদে বিরুদ্ধে। অভিযোগ এনেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। আজ, বৃহস্পতিবার এই মামলায় লোকসভার এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দেওয়ার কথা মহুয়া মৈত্রের। তার আগেই সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য। সূত্রের খবর, মহুয়া মৈত্রের সংসদীয় ইমেইল আইডিতে প্রায় ৪৭ বার লগ ইন করা হয়েছিল দুবাই থেকে।
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে ২ কোটি টাকা ও বিভিন্ন দামি উপহার নিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এর বদলে তিনি ওই ব্যবসায়ীর সাজিয়ে দেওয়া প্রশ্নই সংসদে করতেন। লোকসভায় আদানি ইস্যু নিয়ে করা ৬৩টি প্রশ্নের মধ্যে ৫০টিরও বেশি প্রশ্ন ওই ব্যবসায়ীরই সাজিয়ে দেওয়া ছিল।
এই প্রশ্নগুলি করার জন্য তৃণমূল সাংসদ তাঁর সংসদীয় ইমেইল আইডির লগ ইন ও পাসওয়ার্ডও দুবাইয়ের ব্যবসায়ীকে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। বিজেপি সাংসদের এই অভিযোগকে সমর্থন জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তথা মহুয়া মৈত্রের প্রাক্তন প্রেমিক জয় অনন্ত দেহদ্রাই। পরে দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিও সম্প্রতি হলফনামা প্রকাশ করে জানান যে আর্থিক উপহারের বিনিময়ে মহুয়া মৈত্র তাঁর হয়ে সংসদে প্রশ্ন করতেন। এর জন্য লগ ইন আইডি ও পাসওয়ার্ডও দিয়েছিলেন মহুয়া।
এদিকে, মহুয়া মৈত্র নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন যে সংসদীয় ইমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবসায়ী হিরানন্দানিকে দিয়েছিলেন তিনি। ওই ব্যবসায়ী তাঁর পুরনো বন্ধু বলেও দাবি করেন। তবে তৃণমূল সাংসদের দাবি, প্রশ্নগুলি তাঁরই ছিল। হিরানন্দানির অফিসের কর্মী তা শুধু টাইপ করে দিতেন।
এরই মাঝে বুধবার এক সূত্রে দাবি করা হয়, মহুয়া মৈত্রের সংসদীয় আইডিটি দুবাই থেকে কমপক্ষে ৪৭ বার খোলা হয়েছিল। এরপরই গোড্ডার সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এক্স হ্য়ান্ডেলে লেখেন, “যদি এই খবর সত্যি হয়, তবে মহুয়াজির দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমস্ত সাংসদদের একজোট হয়ে দাঁড়ানো উচিত। হিরানন্দানি নিজের জন্য লোকসভায় প্রশ্ন করেছিল। আমরা কি পুঁজিবাদীদের স্বার্থ প্রচার করার জন্য সাংসদ হয়েছি?”