বেঙ্গালুরু: পদ্মশ্রী প্রাপক ভিআর গৌরীশঙ্করকে শৃঙ্গেরি শারদা পীঠের সিইও তথা প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁর বদলে এই পদের দায়িত্ব গ্রহণ করছেন মঠের দীর্ঘদিনের সেবাইত, পিএ মুরলী। ১৯৮৬ সালে শারদা পীঠের ৩৫তম জগৎগুরু শঙ্করাচার্য অভিনব বিদ্যাতীর্থ মহাস্বামীজির নির্দেশে এই পদের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ভিআর গৌরিশঙ্কর। পরের চার দশকে শঙ্করাচার্যের নির্দেশ মেনে দক্ষ হাতে মঠের সমস্ত প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। মঠের উন্নয়নেও অনেক পদক্ষেপ করেছেন। এদিন এই পদ থেকে তিনি সরলেন বটে, তবে মঠের কাজ থেকে সরছেন না তিনি। এরপরও, নয়া সিইও তথা প্রশাসক, পিএ মুরলীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন তিনি।
গত চার দশকে মঠে তাঁর অবদানের জন্য, তাঁকে সংবর্ধন জানানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছে শৃঙ্গেরী শারদা পীঠের পক্ষ থেকে। ১২ ফেব্রুয়ারি, জগৎগুরু বিধুশেখর ভারতী সন্নিধনমের নবম সন্ন্যাস স্বীকার বার্ষিকী উপলক্ষে মঠে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেখানেই সংবর্ধনা জানানো হবে ভিআর গৌরীশঙ্করকে। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শৃঙ্গেরী মঠের সমস্ত শাখা এবং মঠের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য সংগঠনের প্রধানদের।
১২০০ বছর আগে ভারতের চার দিকে, চারটি মঠ স্থাপন করেছিলেন আদি শঙ্করাচার্য। এই চার মঠের প্রধানরাই শঙ্করাচার্য নামে পরিচিত। সম্প্রতি রাম জন্মভূমি মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়া নিয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল এই চার শঙ্করাচার্যের নাম। চার পীঠের মধ্যে প্রথমটি ছিল কর্নাটকের শৃঙ্গেরীতে অবস্থিত, দক্ষিণমনায় শ্রী শারদা পীঠম। রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা শাস্ত্র মেনে হচ্ছে না দাবি করে, এই অনুষ্ঠানে অংশ নেননি চার শঙ্করাচার্যর কেউই। তবে, পুরীর পূর্বমনায় গোবর্ধনমঠ পীঠের শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী এবং উত্তরাখণ্ডের জ্যোতির মঠের শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ যেখানে খোলাখুলি এই অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেছিলেন, শৃঙ্গেরী মঠের শঙ্করাচার্য ভারতী তীর্থ সেভাবে বিরোধিতা করেননি বরং এই অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।