নয়া দিল্লি: উত্তপ্ত সিংঘু সীমান্ত (Singhu Border)। আন্দোলনকারী কৃষকদের উপর পাথর ছোড়া ও তাঁবু ছিড়ে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একদল স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ধুন্ধুমার বাধল কৃষকদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সীমান্তে উপস্থিত পুলিশরা লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস (Tear Gas) ব্যবহার করতেও বাধ্য হয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয় আজ দুপুরে। একদল মানুষ সিংঘু সীমান্তে এসে উপস্থিত হন। তাঁরা নিজেদের স্থানীয় বাসিন্দা বলে দাবি করেন। আন্দোলনস্থল খালি করার দাবিতে সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভকারী কৃষকদের উদ্দেশে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। প্ল্যাকার্ড দেখানোর পাশাপাশি “খলিস্তান মুর্দাবাদ”, “তিরঙ্গার অপমান, সইবে না হিন্দুস্তান”-এই ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। এরপরই কৃষকদের সঙ্গে বচসা বাধে তাঁদের।
কৃষকদের অভিযোগ, আজ সকাল থেকেই স্থানীয় বাসিন্দাদের নাম করে একদল ব্যক্তি তাঁদের উপর চড়াও হয়। তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভকারীদের উপর ইট-পাথর ছুড়তে থাকে এবং তাঁবুও ছিড়ে দেয়।
#WATCH: Delhi Police baton charges and uses tear gas shells to control the situation at Singhu border where farmers are protesting against #FarmLaws
A group of people claiming to be locals were also protesting at the site demanding that the area be vacated. pic.twitter.com/mF62LNB87j
— ANI (@ANI) January 29, 2021
আরও পড়ুন: ৮ দিনেই উদ্ধার ৮৯৪ জন নিখোঁজ শিশু, নজির গড়ল ওড়িশা পুলিশ
প্রজাতন্ত্র দিবসে বিশৃঙ্খলার ঘটনার পর গতকাল থেকেই সীমান্তে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আন্দোলনকারী কৃষক ও প্রতিবাদী স্থানীয় বাসিন্দাদের একসঙ্গে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনী। ব্যারিকেড ভেঙে কৃষকদের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করলে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার করে পুলিশ।
#WATCH: Scuffle breaks out at Singhu border where farmers are protesting against #FarmLaws.
Group of people claiming to be locals have been protesting at the site demanding that the area be vacated. pic.twitter.com/XWBu9RlwLP
— ANI (@ANI) January 29, 2021
অন্যদিকে, দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন ও দিল্লি জল বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রাঘব চাধা সিংঘু সীমান্তে ও দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া গাজিপুর সীমান্তে যান পরিস্থিতি পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে। সিংঘু সীমান্ত থেকে সত্যেন্দর জৈন বলেন, “পানীয় জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এসেছি আমরা। পুলিশ জলের ট্যাঙ্কার আসতে দিচ্ছে না। তাঁরা বলছেন যে উচুমহল থেকে নির্দেশ এসেছে। এদিকে রাজ্য সরকারের কোনও বিভাগ থেকেই এইধরনের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বিজেপির নির্দেশে এই কাজ করা হচ্ছে। তবে আমরা কাউকে খাবার ও জলের অভাবে মরতে দেব না।”
আরও পড়ুন: মাঝরাতে পঞ্জাব-হরিয়ানার ৪৫টি গুদামে হানা সিবিআইয়ের, তদন্ত ঘিরে প্রশ্ন