Assam: ব়্যাগিংয়ের হাত থেকে বাঁচতে হোস্টেলের তিনতলা থেকে ঝাঁপ কিশোরের, গ্রেফতার ৫

Assam: ব়্যাগিংয়ের হাত থেকে বাঁচতে হোস্টেলের তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিল কিশোর। এই ঘটনায় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Assam: ব়্যাগিংয়ের হাত থেকে বাঁচতে হোস্টেলের তিনতলা থেকে ঝাঁপ কিশোরের, গ্রেফতার ৫
গ্রাফিক্স সৌজন্যে : অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2022 | 10:10 PM

গুয়াহাটি: ফের র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ। আরও অভিযোগ, তার জেরেই নাকি তিন তলা থেকে ঝাঁপ! ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dibrugarh University) বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র আনন্দ শর্মা। সিনিয়রদের র‌্যাগিংয়ের হাত থেকে বাঁচতে হোস্টেলের তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছে সেই কিশোর। গুরুতরভাবে আহত হয়েছে সে। তাকে তড়িঘড়ি নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এই র‌্যাগিংয়ের জন্য অভিযুক্ত আনন্দের পাঁচজন সিনিয়রকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে অসমের ডিব্রুগড় থানার পুলিশ।

তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিকবার র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ করেছিল আনন্দ শর্মা। পদ্মানাথ গোহেইন বরুয়া ছাত্র নিবাসে থাকত আনন্দ শর্মা। কিছুদিন আগেই গত ১৭ নভেম্বর এই হোস্টেলের সি ব্লকের ওয়ার্ডেনকে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছিল সে। সেখানে কয়েকজনের নামও উল্লেখ করা ছিল। তারপর সিনিয়রদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে হোস্টেলেক তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিল অনন্দ। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sharma) এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং পড়ুয়াদের কাছে র‌্যাগিং থেকে দূরে থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘জানা গিয়েছে ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের কারণে এক কিশোর গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। এই বিষয়ে নজর রয়েছে এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। আহতকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও লেখেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের অনুরোধ করছি, র‌্যাগিংকে থেকে দূরে থাকো।’

আনন্দের সঙ্গে আরও দু’জন জুনিয়র সেই সময় ছিল। তারাও এই র‌্যাগিংয়ের স্বীকার। এই ঘটনার পরই আনন্দের মা পুলিশে অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পাঁচজন সিনিয়রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন প্রাক্তনী বাকিরা এই বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও র‌্যাগিং বিরোধী টাস্ক ফোর্স এই ঘটনার বিষয়ে জেনেছে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে তারা। এদিকে সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে খুব গুরুতর অভিযোগ করেছেন আনন্দের মা সরিতা শর্মা। ডিব্রুগড় পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করার সময় তিনি জানিয়েছেন, র‌্যাগিংয়ের কারণেই হোস্টেলের তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছে তাঁর ছেলে।

আনন্দকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ মায়ের। তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা, মোবাইল ফোন ও টাকা লুঠ করার মতো বড় বড় অভিযোগ করেছেন সরিতা শর্মা। এমনকী আনন্দকে হুমকি দিয়ে তার হাতে গাঁজা ও মদের বোতল সমেত ছবিও তুলেছিল সিনিয়ররা। যাতে পরবর্তীকালে সেই ছবি দেখিয়ে নিজেরে পিঠ বাঁচাতে পারে তারা। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ডিব্রুগড় থানার পুলিশ।