নয়া দিল্লি: সোমবার (২২ অগস্ট) বিকেলে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালেন অখিল ভারত বিদ্যার্থী পরিষদের বা এবিভিপির সদস্য শিক্ষার্থীরা। এদিন বকি থাকা ফেলোশিপের দাবিতে এবিভিপির কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ বিষয়ক কার্যালয়ে জমায়েত করেছিলেন। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। তর্কাতর্কি গড়ায় হাতাহাতি, ভাঙচুরে। এবিভিপি-র সভাপতি রোহিত কুমার-সহ বেশ কয়েকজন এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে ছাত্র সংগঠনটির পক্ষ থেকে। ছয়জনের আঘাত গুরুতর বলে দাবি করা হয়েছে। এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লি জেলার এক পদস্থ পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়ে একটি পিসিআর কল এসেছিল। নিরাপত্তারক্ষী এবং শিক্ষার্থী – উভয় পক্ষ থেকেই পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। তবে, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই বিষয়টির মীমাংসা হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ওই পদস্থ পুলিশ কর্তা।
Supporter of @abvpjnu clashes in @JNU_official_50 .#jnu #ABVP #Delhi #left pic.twitter.com/pdxsxOxYDO
— Krishna Mohan Sharma (@KMShrma) August 22, 2022
ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী এবং নিরাপত্তা কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ বিভাগের কার্যালয়ে ভিড় জমিয়েছে। কার্যালয়ের মধ্যেই শিক্ষার্থী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের একে অপরকে ধাক্কা দিতে দেখা যায়। এক ভিডিয়োতে ছাত্রছাত্রীদের মারধর করতেও দেখা গিয়েছে রক্ষীদের। শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দিয়ে অর্থ বিভাগের ভবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায় নিরাপত্তারক্ষীদের।
RSS’s so-called student wing, ABVP beating up JNU’s fellowship office staff and security staff. They rule the country, control the university, but the basic character hardly changes! pic.twitter.com/GjikBbhh7P
— Ashok Swain (@ashoswai) August 22, 2022
শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা শান্তিপূর্ণভাবে দুই বছরের বেশি সময় ধরে আটকে থাকা বৃত্তির টাকা মুক্তির দাবি জানাচ্ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীদের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের উসকানি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এবিভিপি-র পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এদিনের ঘটনায় বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছেন। এবিভিপি-র জেএনইউ শাখার সেক্রেটারি উমেশ চন্দ্র জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা বৃত্তির মুক্তির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই অর্থ বিভাগের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রছাত্রীদের গালিগালাজ করতে শুরু করেছিলেন। এরপরই বিষয়টি হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়।
विश्वविद्यालय के पास पैसा होने के बाद भी महीनों से प्रशासन छात्रों के पैसे को हड़प रहा है, हमारी ही शोधवृत्ति और छात्रवृत्ति मांगने पर हमसे बदसलूकी की जाती है और बुरी तरह से पीटा जाता है। @abvpjnu के कार्यकर्ता भ्रष्ट प्रशासन से अंत तक लड़ेंगे। pic.twitter.com/izAIq1PLan
— ABVP JNU (@abvpjnu) August 22, 2022
উমেশ চন্দ্র বলেন, “আমরা প্রায় ২০-৩০ জন গিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীরা অনেক মাস ধরে বৃত্তি পাচ্ছেন না। আমরা সেটাই চাইতে গিয়েছিলাম। আমরা আমাদের অধিকারের দাবি জানাতে গিয়েছিলাম। এদিন সাড়ে এগারোটা নাগাদ আমরা অর্থ বিভাগের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তারক্ষীদের ডেকে আনে। বেলা সাড়ে বারোটার দিকে আমাদের উপর হামলা করা হয়। ধাক্কাধাক্কিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কাচের দরজা ভেঙে যায়। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী এই ঘটনায় আহত হয়েছেন।” এবিভিপির পক্ষ থেকে ঘটনার বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে।
এবিভিপির সভাপতি রোহিত কুমার জানিয়েছেন, জেএনইউ-এর অর্থ বিভাগে কর্মচারীর ব্যাপক অভাব রয়েছে। সেই কারণেই দুই বছর ধরে বৃত্তির টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, “এই বিভাগের অবস্থা যে, আগে যেখানে ১৭ জন কর্মচারী ছিলেন, এখন সেই জায়গায় মাত্র চারজন কর্মচারী পড়ে আছেন। দুই বছরের বেশি সময় ধরে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা নন নেট স্কলারশিপ, এমসিএম (মেরিট-কাম-মিনস) বা জেআরএফও পাচ্ছেন না।” এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত জেএনইউ-এর পক্ষ থেকে এই ঘটনার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।