নয়া দিল্লি: সরকারি চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে যাঁরা সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন, কেন্দ্র রাজ্য উভয়ের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ যে সময় মতো সরকারি চাকরির নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বের হয়না। বিজ্ঞপ্তি বের হয়ে যদি পরীক্ষাও হয়, সেই পরীক্ষা ফল প্রকাশে অনেক দেরি হয়ে যায় এমনকি অনেক ক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের চাকরির ও নিয়োগের দাবিতে উত্তপ্ত হয় বিহার ও উত্তর প্রদেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উত্তাপের আগুনে সবথেকে বেশি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিহার। বিহারের রেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল ছাত্ররা। এমনকি পুলিশের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের সংঘর্ষও হয়। সেই ঘটনা তুলে ধরে এদিন সংসদে মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরি। কর্মসংস্থান নিয়ে মোদী সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরি। কংগ্রেস নেতার দাবি, বিজেপি সরকারের আমলে দেশের যুবসমাজের অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছে। বেকার যুবকদের দাবি ছিল তাদের চাকরি দেওয়া হোক, সেই কারণে তাদের ওপর লাঠি চার্জ করেছে।
কী বললেন অধীর চৌধুরি
“২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সকলে যখন বিশেষ দিন পালন করছিল, তখন উত্তর প্রদেশ ও বিহারে আমাদের বেকার যুবকদের ওপর পুলিশ লাঠি চার্জ করেছে, তাদের মারধর করা হয়েছে। বেকার যুবকদের দাবি ছিল তাদের চাকরি দেওয়া হোক। ২০১৯ সালে রেলমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরীক্ষা হলেও ৩ বছর ধরে কেউ চাকরি পায়নি। তাই ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে ক্ষুব্ধ হয়েই আন্দোলনে নেমেছিলেন। আমরা হিংসাকে সমর্থন করিনা, তবে রেলওয়ের অসতর্কতাই এই অবস্থার জন্য দায়ী। যুবকদের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। ৩৫ হাজার চাকরির জন্য ১ লক্ষ ২৫ হাজার জনকে ডাকা হয়েছে। আমাদের দেশের কর্মসংস্থানের অবস্থা এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে। ” লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে বলে অধীর চৌধুরি।
কী ঘটেছিল ওইদিন?
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন গয়াতে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গয়াতে ছাত্র বিক্ষোভ পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। বিভিন্ন ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল যে পুলিশ পরীক্ষার্থীদের সঠিকভাবে সামাল দিতে পারছিল না। এরপরই বিক্ষোভরত ছাত্ররা ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, রেলওয়ের নন-টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটেগরির পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতি করা হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারিই প্রথম ধাপের কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। সেখানেই দ্বিতীয় ধাপে পরীক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে জালিয়াতি বলেই দাবি বিক্ষোভকারীদের। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও সিবিটি ২ পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। ২০১৯ সালের রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েও নতুন কোনও আপডেট পাওয়া যাচ্ছে না। সেই পরীক্ষার ফলও প্রকাশ করা হয়নি।
** বাঙালিয়ানার চর্চায় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় বোস, অজয় চক্রবর্তী
** বাঙালিয়ানার চর্চায় অতিথি শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার
নয়া দিল্লি: সরকারি চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে যাঁরা সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন, কেন্দ্র রাজ্য উভয়ের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ যে সময় মতো সরকারি চাকরির নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বের হয়না। বিজ্ঞপ্তি বের হয়ে যদি পরীক্ষাও হয়, সেই পরীক্ষা ফল প্রকাশে অনেক দেরি হয়ে যায় এমনকি অনেক ক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের চাকরির ও নিয়োগের দাবিতে উত্তপ্ত হয় বিহার ও উত্তর প্রদেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উত্তাপের আগুনে সবথেকে বেশি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিহার। বিহারের রেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল ছাত্ররা। এমনকি পুলিশের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের সংঘর্ষও হয়। সেই ঘটনা তুলে ধরে এদিন সংসদে মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরি। কর্মসংস্থান নিয়ে মোদী সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরি। কংগ্রেস নেতার দাবি, বিজেপি সরকারের আমলে দেশের যুবসমাজের অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছে। বেকার যুবকদের দাবি ছিল তাদের চাকরি দেওয়া হোক, সেই কারণে তাদের ওপর লাঠি চার্জ করেছে।
কী বললেন অধীর চৌধুরি
“২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সকলে যখন বিশেষ দিন পালন করছিল, তখন উত্তর প্রদেশ ও বিহারে আমাদের বেকার যুবকদের ওপর পুলিশ লাঠি চার্জ করেছে, তাদের মারধর করা হয়েছে। বেকার যুবকদের দাবি ছিল তাদের চাকরি দেওয়া হোক। ২০১৯ সালে রেলমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরীক্ষা হলেও ৩ বছর ধরে কেউ চাকরি পায়নি। তাই ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে ক্ষুব্ধ হয়েই আন্দোলনে নেমেছিলেন। আমরা হিংসাকে সমর্থন করিনা, তবে রেলওয়ের অসতর্কতাই এই অবস্থার জন্য দায়ী। যুবকদের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। ৩৫ হাজার চাকরির জন্য ১ লক্ষ ২৫ হাজার জনকে ডাকা হয়েছে। আমাদের দেশের কর্মসংস্থানের অবস্থা এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে। ” লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে বলে অধীর চৌধুরি।
কী ঘটেছিল ওইদিন?
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন গয়াতে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গয়াতে ছাত্র বিক্ষোভ পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। বিভিন্ন ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল যে পুলিশ পরীক্ষার্থীদের সঠিকভাবে সামাল দিতে পারছিল না। এরপরই বিক্ষোভরত ছাত্ররা ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, রেলওয়ের নন-টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটেগরির পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতি করা হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারিই প্রথম ধাপের কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। সেখানেই দ্বিতীয় ধাপে পরীক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে জালিয়াতি বলেই দাবি বিক্ষোভকারীদের। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও সিবিটি ২ পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। ২০১৯ সালের রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েও নতুন কোনও আপডেট পাওয়া যাচ্ছে না। সেই পরীক্ষার ফলও প্রকাশ করা হয়নি।
** বাঙালিয়ানার চর্চায় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় বোস, অজয় চক্রবর্তী
** বাঙালিয়ানার চর্চায় অতিথি শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার