নয়াদিল্লি: মণীশ কোঠারির জামিনকে হাতিয়ার করে এবার দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন অনুব্রত-কন্যার। সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের আবেদনের পক্ষে জোরাল যুক্তি তুলে ধরলেন সুকন্যার আইনজীবী। শুক্রবার মামলার শুনানি ছিল। যদিও ইডি এর তীব্র বিরোধিতা করে। তাদের যুক্তি, গরুপাচার কাণ্ডের টাকা অনুব্রতর পাশাপাশি সুকন্যার অ্যাকাউন্টেও গিয়েছে।
এদিন সুকন্যার আইনজীবী দিল্লি হাইকোর্টে বলেন, মণীশ কোঠারি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। সুকন্যার তুলনায় তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন। অথচ তিনি জামিন পেয়েছেন। অথচ সিবিআই সুকন্যাকে অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করেনি, তবু ইডির হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে, সেই সংস্থাগুলি পরিচালনা করতেন তাঁর বাবা। তাঁর বাবাও জেলে রয়েছেন।
সুকন্যা শুধুমাত্র একজন সাধারণ স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। যেহেতু মণীশ এই মামলায় ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন, তাই সুকন্যার জামিন মঞ্জুরের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ অক্টোবর। গরু পাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুকন্যা মণ্ডল। দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুকন্যাকে। সেখান থেকেই গ্রেফতার হন সুকন্যা। সুকন্যা বারবারই দাবি করেছেন, তিনি এ সংক্রান্ত কিছুই জানেন না। তবে তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই সুকন্যার নামে বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। কীভাবে একজন শিক্ষিকার এত সম্পত্তি হল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আপাতত তিহাড় জেলে রয়েছেন সুকন্যা।