Supreme Court: সুপ্রিম কোর্ট সাক্ষী থাকল ‘বিরল বিবাহবিচ্ছেদ’ মামলার, সাধুবাদ জানালেন খোদ বিচারপতিরা
Supreme Court on Alimony: সে পাড়ার কোনও বাড়ির হোক বা কোনও তারকা দম্পতির। তাতে একটা সাদৃশ্য রয়েছে, তা হল আকাশছোঁয়া খোরপোশ, যে ভয়ে একাংশের পুরুষ হয়ে উঠছেন বিবাহ বিমুখী। কিন্তু সেই একরাশ অন্ধকারের মধ্যে যেন আলোকবিন্দু হয়ে রয়েছে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ওঠা বিবাহবিচ্ছেদের মামলাটি।

নয়াদিল্লি: কোনও খোরপোশ নিলেন না তিনি। ফিরিয়ে দিলেন বিয়েতে নিজের শাশুড়ির থেকে পাওয়া সোনার বালা দু’টিও। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সাক্ষী থাকল এক বিরল বিবাহবিচ্ছেদ মামলার। এতটাই বিরল যে গোটা ঘটনাকে ‘আজকের দিনে নজিরবিহীন’ বলেই উল্লেখ করলেন বিচারপতিরা।
সাম্প্রতিককালে প্রায় প্রতিটি বিবাহবিচ্ছেদের মামলা, সে পাড়ার কোনও বাড়ির হোক বা কোনও তারকা দম্পতির। তাতে একটা সাদৃশ্য রয়েছে, তা হল আকাশছোঁয়া খোরপোশ, যে ভয়ে একাংশের পুরুষ হয়ে উঠছেন বিবাহ বিমুখী। কিন্তু সেই একরাশ অন্ধকারের মধ্যে যেন আলোকবিন্দু হয়ে রয়েছে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ওঠা বিবাহবিচ্ছেদের মামলাটি।
এদিন এই মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে। শুনানি শেষে গোটা মামলাটিকে তাঁরা ‘বিরল নিষ্পত্তি’ বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু ঠিক কী কী হল এজলাসে? আদালত সূত্রে খবর, প্রাক্তন স্বামীর থেকে কোনও রকম খোরপোশ চাননি ওই মহিলা। দাবি করেননি কোনও রকম আর্থিক ক্ষতিপূরণেরও। ওই মহিলার আইনজীবী বলেন, ‘ডিভিশন বেঞ্চ আশা করেছিল আমার মক্কেল হয়তো তাঁর স্ত্রীধন অর্থাৎ বিয়ের সময় পাওয়া সামগ্রীগুলি চাইবেন। কিন্তু ওনার হাতে থাকা দু’টি সোনার বালাও, যা তাঁর শাশুড়ি দিয়েছিলেন, সেগুলি তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন।’
আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই মামলা সত্যি বেনজির ভাবে নিষ্পত্তি হল। না কোনও দাবি, না কোনও চাহিদা। হাতে থাকা চুড়িও ফেরত দিয়ে দিলেন মামলাকারী। এরপরেই ওই মহিলাকে আগামী জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা বলেন, ‘এই মামলা সত্যি বিরল। নিজের অতীত ভুলে যান। আগামীর জন্য আপাকে শুভেচ্ছা।’
