SIR in Bengal: ছিল না আধার-ভোটার কার্ড, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী ব্যক্তি, SIR আতঙ্কের অভিযোগ
Malda: স্থানীয় তৃণমূল নেতা দানেশ আলি বলেন, "ওরা চার ভাই। তিন ভাইয়ের সব নথি রয়েছে। কিন্তু, আবুল কালামের কোনও নথি ছিল না। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে ভিনরাজ্যে থাকতেন। ফলে ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড করার সময় পাননি।"

মালদহ: ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড ছিল না। এনুমারেশন ফর্মও পাননি। শনিবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক ব্যক্তির আত্মহত্যার ঘটনায় এসআইআর আতঙ্কের অভিযোগ উঠল। মৃত ব্যক্তির নাম আবুল কালাম (৫২)। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুভোরট গ্রামে। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
মৃতের বাড়ি বালুভোরট গ্রামে। বিয়ে করেননি। বহু বছর ধরে জয়পুরে থাকতেন তিনি। সেখানে হোটেলে কাজ করতেন। গত একবছর ধরে বাড়িতে থাকতেন। ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড না থাকায় এসআইআর ফর্ম পূরণ করতে পারেননি আবুল কালাম। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বাবা ও মায়ের নামও ছিল না। পরিবারের বক্তব্য, এনুমারেশন ফর্ম না আসায় আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। ডিটেনশন ক্যাম্প ও বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখাচ্ছিলেন এলাকার মানুষ। সেই আতঙ্কে আত্মঘাতী হন বলে অভিযোগ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা দানেশ আলি বলেন, “ওরা চার ভাই। তিন ভাইয়ের সব নথি রয়েছে। কিন্তু, আবুল কালামের কোনও নথি ছিল না। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে ভিনরাজ্যে থাকতেন। ফলে ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড করার সময় পাননি।” তবে, একাত্তরে আবুল কালামের বাবা-মার নাম ছিল বলে ওই তৃণমূল নেতা দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, “ওর দাদা ও ভাইপোদের সব নথি রয়েছে। ওকে আমরা চিন্তা করতে বারণ করেছিলাম। বলেছিলাম, প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা করা হবে। তারপরও আতঙ্কে থাকতেন। আর সেই আতঙ্কেই আত্মঘাতী হলেন।” তাড়াহুড়ো করে এসআইআর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে এই মৃত্যুর জন্য বিজেপি ও কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলল রাজ্যের শাসকদল। বিজেপির অবশ্য দাবি, এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে তৃণমূলই।
