নয়া দিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজধানীতে ট্রাক্টর মিছিল (Tractor Rally) হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত দিল্লি পুলিসের উপরই ছেড়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে (SA Bobde) জানান, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যাবতীয় অধিকার রয়েছে দিল্লি পুলিসের।
সপ্তম দফা বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পরই দিল্লির আন্দোলনকারী কৃষকরা জানিয়েছিলেন, বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তাঁরা। আন্দোলনের একটি অংশ হিসাবেই আগামী ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিলের আয়োজন করবেন তাঁরা। এরপরই কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয় মিছিল আটকাতে। আবেদনপত্রে বলা হয়, “প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে কোনওরকম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলে তা দেশ ও জাতির জন্য লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।”
এই বিষয়ের শুনানিতে আজ সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি এল এন রাও ও বিচারপতি বিনীত সরনের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, “পুলিসের ক্ষমতা ও তা কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা কি সুপ্রিম কোর্ট বলে দেবে? আপনারা কী করবেন, তা আমরা বলে দেব না”। শীর্ষ আদালতের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালকে জানানো হয়, আগামি ২০ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: ‘টিকা নিলে তবেই মিলবে বেতন’, চাপের মুখে প্রত্যাহার নির্দেশিকা
ট্রাক্টর মিছিল স্থগিত করার জন্য দিল্লি পুলিসের মাধ্যমে কেন্দ্র আবেদন জানায় সুপ্রিম কোর্টে। জানানো হয়, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দিল্লিতে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, তার উপর গোটা বিশ্বের নজর থাকে। ট্রাক্টর মিছিলের কারণে এই অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তা লজ্জার বিষয় হবে। অতএব ২৬ জানুয়ারি যেন দিল্লিতে ট্রাক্টর, ট্রলি বা যোকোনও ধরনের যানবাহন নিয়ে মিছিলের অনুমতি না দেওয়া হয়।
যদিও কৃষক নেতাদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় এক হাজার ট্রাক্টর নিয়ে এই মিছিল শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত করা হবে এবং রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজেও এর কোনও প্রভাব পড়বে না। সিংঘু সীমান্ত থেকে এক কৃষক নেতা বলেন, ” ২৬ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণভাবেই ট্রাক্টর মিছিল করা হবে। ৫০ কিমি দীর্ঘ এই মিছিল দিল্লির আউটার রিং রোডে করা হবে। আশা করছি দিল্লি ও হরিয়ানা পুলিস এই বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করবে। ”
আরও পড়ুন: টিকা নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মৃত্যু স্বাস্থ্যকর্মীর