Supreme Court: ‘বছরের পর বছর ধরে আটক করে রাখলে, শুনানির কী প্রয়োজন?’ এনসিবিকে প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের

Supreme Court Criticize NCB: প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ বলেন, "ওনার বয়স ৬৬ বছর, আপনারা যতদিনে ওনার মামলার নিষ্পত্তি করবেন, তখন আর উনি এই জগতে থাকবেন না।"

Supreme Court: 'বছরের পর বছর ধরে আটক করে রাখলে, শুনানির কী প্রয়োজন?' এনসিবিকে প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের
সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ পঞ্জাব সরকার (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 08, 2021 | 12:07 PM

নয়া দিল্লি: “আদালতে শুনানির কী প্রয়োজন, যদি বছরের পর বছর ধরে কাউকে জেলেই আটকে রাখা হয়?” , বৃহস্পতিবার এনডিপিএস আইনে (NDPS Act) আটক ৬৬ বছরের এক ব্যক্তির জামিনের আর্জি শুনতে গিয়ে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো(Narcotics Control Bureau)-র কাছে এই প্রশ্নই রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

শীর্ষ আদালতে জামিনের আবেদনকারী  ওই ব্যক্তি বিগত ৪ বছর ধরে বিনা শুনানিতেই জেলে বন্দি রয়েছেন। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ (NV Ramana), বিচারপতি সূর্যকান্ত (Surya Kant) ও বিচারপতি হিমা কোহলি(Hima Kohli)-র বেঞ্চের তরফএ ওই ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে তিনি এনসিবির হেফাজতে জেলবন্দি ছিলেন এবং আগামিদিনেও দ্রুত এই বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকায়, এই দুটি দিক বিবেচনা করেই ওই ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হয়।

শুনানি চলাকালীনই তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানতে পারেন জামিনের আবেদনকারী একজন প্রবীণ নাগরিক এবং দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার বিচারপ্রক্রিয়ায় কোনও অগ্রগতি হয়নি। এনসিবির তরফে হাজির অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু আদালতে জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যে ঘর থেকে আটক করা হয়েছিল, সেই ঘরে ২৫ কেজি গাঁজাও পাওয়া গিয়েছিল, যা বাণিজ্যিক পরিমাণের থেকেও অনেকটা বেশি।

এর প্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ প্রশ্ন করেন, “আমি আপনাকে একটাই প্রশ্ন করতে চাই, আপনারা কত বছর বিনা শুনানি বা বিচারেই ওনাকে জেলে আটকে রেখেছেন?” জবাবে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানান, ৫ বছর। এরপরই প্রধান বিচারপতি কটাক্ষের সুরে বলেন, “৫ বছর কেন? ওনাকে ১০ বছর আটকে রাখুন। তাহলে তো বিচারপ্রক্রিয়ার কোনও প্রয়োজনই নেই।”

প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ বলেন, “ওনার বয়স ৬৬ বছর, আপনারা যতদিনে ওনার মামলার নিষ্পত্তি করবেন, তখন আর উনি এই জগতে থাকবেন না।”

জানা গিয়েছে, এর আগে ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে ওই ব্যক্তি জামিনের আবেদন করলেও সেই সময় ওই অভিযুক্তের সঙ্গেই একই রুম থেকে ধৃত অপর ব্যক্তি সাক্ষী হিসাবে ৩৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় ওই ব্যক্তির ভূমিকা সম্পর্কে জানানোয় তাঁর জামিনের আবেদন বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। তবে কলকাতার আদালতের তরফেও অভিযুক্ত ব্যক্তির দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আটক থাকার বিষয়টি বিবেচনা করে ট্রায়াল কোর্টকে  নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে দ্রুত যেন সাক্ষীদের বয়ান যাচাই করা হয় এবং এক বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করা হয়।  আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিশেষ জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।

আরও পড়ুন: Weather Update: গুলাবের রেশ কাটেনি এখনও, ফের নিম্নচাপে বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা! কবে থেকে শুরু হবে বৃষ্টি?