Viral Video: সকাল থেকেই বেঁকে যাচ্ছিল আসবাবপত্র, বাসিন্দারা নীচে নামতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল তিনতলা বাড়িটাই!

Viral Video of Building Collapsing: বৃহস্পতিবার সকালেই পথচলতি মানুষ  লক্ষ্য করেন বাড়িটি সামান্য বেঁকে রয়েছে। এরপরই বাড়ির বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয় এবং তারা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। বেলা কিছুটা গড়াতেই আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে শুরু করে বাড়িটি।

Viral Video: সকাল থেকেই বেঁকে যাচ্ছিল আসবাবপত্র, বাসিন্দারা নীচে নামতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল তিনতলা বাড়িটাই!
ভেঙে ফেলা হচ্ছে অবশিষ্ট অংশটুকুও।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 08, 2021 | 1:09 PM

বেঙ্গালুরু: তাসের ঘরে দমকা হাওয়া লাগলেই কীভাবে পাতাগুলি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে দেখেছেন নিশ্চয়ই। এ বার বাস্তব জীবনেও তাসের ঘরের মতোই আস্ত তিনতলা বাড়িকে ভেঙে গুড়িয়ে যেতে  (Building Collapsed) দেখল সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো (Viral Video)। এভাবে আস্ত একটি বাড়ি ভেঙে পড়তে দেখে আতঙ্কিতও হয়ে পড়েছেন অনেকে।

ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরু(Bengaluru)-র কস্তুরী নগরে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকাই ভেঙে পড়ে ওই তিনতলা বাড়িটি। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর না মিললেও বিগত ১৫ দিনে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কিত এলাকাবাসী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তিনতলা বাড়িটিতে মোট আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এরমধ্যে তিনটি ফ্ল্যাটে বাসিন্দা ছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকালেই পথচলতি মানুষ  লক্ষ্য করেন বাড়িটি সামান্য বেঁকে রয়েছে। এরপরই বাড়ির বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয় এবং তারা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। বেলা কিছুটা গড়াতেই আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে শুরু করে বাড়িটি। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োগুলিতে দেখা গিয়েছে, বাড়িটি ভেঙে পড়তে দেখেই স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ে যে যেদিকে পারেন, ছুটে পালিয়ে যান।

এরপরই পুর প্রশাসন ও দমকল বিভাগের আধিকারিকদের খবর দেওয়া হয়। তারাও কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান নিতে শুরু করেন। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বাড়িটির ভিত নড়বড়ে হওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বেঙ্গালুরুর মিউনিসিপ্যাল কমিশনার গৌরব গুপ্তা জ়োনাল কমিশনারদের নির্দেশ দিয়েছেন একটি কমিটি তৈরি করে এলাকার সমীক্ষা করতে এবং কোন বিল্ডিংগুলি বিপদজনক ও আইন ভেঙে তৈরি করা হয়েছে, তা চিহ্নিত করতে।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ওই তিনতলা বাড়িটিতে বিগত সাত বছর ধরেই বসবাসের কোনও সার্টিফিকেট ছিল না। তারপরও ওই তিনটি ফ্ল্যাটে পরিবার বসবাস করছিল এবং বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহও চালু ছিল। ঘটনায় এক অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার শঙ্করাপ্পাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে বিল্ডিংটি তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল এবং ২০১৪ সালের নভেম্বরের মধ্যেই ফ্ল্যাটগুলি বিক্রির জন্য তৈরি করে ফেলা হয়। বিবিএমপি আধিকাকরিকরা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ ও জলের পরিষেবা পাওয়ার জন্য বসবাসের সার্টিফিকেট থাকা জরুরি হলেও আবাসন প্রস্তুতকারকরা ওই সার্টিফিকেট ছাড়াই বিদ্যুৎ ও জলের লাইন বসিয়ে নেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ বাসিন্দারা ঘরের আসবাব পত্র দেখে বুঝতে পারেন যে বাড়িটি একদিকে হেলে পড়েছে। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ধুলেয় মিশে যায় আস্ত বাড়িটি। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, বিল্ডিংয়ের কোনও একটি অংশের ভিত নড়বড়ে ছিল, সেই কারণেই এটি ভেঙে পড়ে। পুরসভার একাধিক নিয়ম ভেঙে বাড়িটি তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে তারা ছাদের উপরও ঘর তৈরি করছিল। শুক্রবারের মধ্য়েই বিল্ডিংয়ের শেষ অংশটুকু ভেঙে ফেলা হবে। সুরক্ষার জন্য আশেপাশের বাড়িগুলিও খালি করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Supreme Court: ‘বছরের পর বছর ধরে আটক করে রাখলে, শুনানির কী প্রয়োজন?’ এনসিবিকে প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের