AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Supreme Court News: গুরুদ্বারে ঢুকতে নারাজ সেনা অফিসার, ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলল, ‘বাহিনীর জন্য যোগ্য নন…’

Supreme Court on Christian Army: তবে অফিসারের সওয়ালকারীর দাবি, তাঁর মক্কেল ভিতরে যেতে না চাইলেও বাইরে ডিউটি করতে রাজি ছিলেন। অবশ্য এই যুক্তির পরেও অনড় থেকেছে আদালত। সেনা ধর্মীয় পরিচয়ের উর্ধ্বে বলেই মত শীর্ষ আদালতের।

Supreme Court News: গুরুদ্বারে ঢুকতে নারাজ সেনা অফিসার, ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলল, 'বাহিনীর জন্য যোগ্য নন...'
সুপ্রিম কোর্টImage Credit: PTI
| Updated on: Nov 25, 2025 | 9:45 PM
Share

নয়াদিল্লি: শিখদের ধর্মস্থান গুরুদ্বারে প্রবেশে আপত্তি জানান ভারতীয় সেনার এক অফিসারের। ধর্মকেই আধার করেছিলেন তিনি। যুক্তি দিয়েছিলেন, তিনি খ্রিস্টান। যা ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। এই ঘটনা ২০১৭ সালের। এরপর ২০২১ সালে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে। ভারতীয় সেনা যুক্তি দেয়, অফিসারের আপত্তি দলের অন্য সৈনিকদের মনে সংশয় তৈরি করে। তাই ওনার এই কাজ করা উচিত হয়নি।

এই ঘটনার পর কেটে যায় কয়েক বছর। গত মে মাসে দিল্লি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট সেনা অফিসার। ভারতীয় সেনার যুক্তিতেই সায় দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, তিনি সেনাবাহিনীর একজন কমান্ডর পদমর্যাদার রক্ষী। তাঁর দায়িত্ব অন্যান্য সৈনিকদের থেকে অনেকটাই বেশি। আর এখানে ধর্মীয় স্বাধীনতার কোনও প্রসঙ্গ নেই। বরং, অফিসারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাঁকে যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা পালন করাই তাঁর কর্তব্য। কিন্তু তিনি তা করেননি।

এরপর দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন ওই সেনা অফিসার। কিন্তু সেখানেও বহাল থাকে একই নির্দেশ। ব্যাকফুটে পড়তে হয় সংশ্লিষ্ট অফিসারকে। মঙ্গলবার এই বহিষ্কৃত খ্রিস্টান সেনা অফিসারের মামলার শুনানি চলছিল দেশের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতির জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘এই কাজ করে তিনি কী বার্তা দিলেন? একজন সেনা অফিসার হয়ে এটা শৃঙ্খলাভঙ্গের সমান। তাই তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক।’

অবশ্য এই সেনা অফিসারের সিদ্ধান্তের ভিত্তি সেনা রেজিমেন্টে থাকা ‘জাতপাতের’ প্রসঙ্গ তুলেছিলেন অফিসারের সওয়ালকারী। এদিন তিনি বলেন, ‘সেনায় জাঠ রেজিমেন্ট, রাজপুত রেজিমেন্ট, সব জাতপাতের ভিত্তিতে তৈরি। তা হলে কীসের ধর্মনিরপেক্ষতা?’ যদিও এই যুক্তিতে আশ্বস্ত হয়নি আদালত। এদিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের আরও পর্যবেক্ষণ, ‘উনি একজন অসাধারণ অফিসার হতে পারেন। কিন্তু কোনও ভাবেই যোগ্য নন। আপনি শুধু গুরুদ্বার থাকায় ঢুকতে রাজি ছিলেন না। এটা কি আপনার সৈন্যদের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া হচ্ছে না?’

তবে অফিসারের সওয়ালকারীর দাবি, তাঁর মক্কেল ভিতরে যেতে না চাইলেও বাইরে ডিউটি করতে রাজি ছিলেন। অবশ্য এই যুক্তির পরেও অনড় থেকেছে আদালত। সেনা ধর্মীয় পরিচয়ের উর্ধ্বে বলেই মত শীর্ষ আদালতের।